মাদারীপুরে জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সামনে কিশোর গ্যাং-এর দুইগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত তিনজন। এ সময়ে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুইজনকে আটক করেছে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) রাত সোয়া ৯টার দিকে শহরের শকুনি লেকের দক্ষিনপাড়ে জেলা প্রশাসকের বাস ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সন্ধ্যার সময়ে চাচাতো ভাই সাব্বিরকে সঙ্গে নিয়ে শকুনি লেকের পাড়ে ঘুরতে আসে মধ্য হাউসদি এলাকার সেলিম শিকাদারের ছেলে সিফাত শিকদার (১৫)। এ সময় ডিসির ব্রিজ এলাকার মাহিম নামে এক কিশোরের শরীরের ধাক্কা লাগে সিফাতের এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথার কাটাকাটি হয়। এর জেরধরে উভয়ের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জেলা প্রশাসকের বাসভনের সামনে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় বেশকয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ সংঘর্ষে আহত হয় তিনজন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। অভিযান পরিচালনা করে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। সংঘর্ষের সময়ে একাধিক ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় জেলা জামে মসজিদের ভেতর নামাজরত মুসল্লীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এদিকে কিশোর গ্যাং-এর সদস্যরা জামে মসজিদের সামনে পার্কিং করা একটি প্রাইভেটকারও ভাঙচুর করেছে।
কয়েকজন মুসল্লী জানান, হঠাৎ বৃষ্টির মতো ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। নামাজরত অবস্থায় শত শত মুসল্লির মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনার দোষীদের বিচার না হলে এমন ঘটনা আরো ঘটতে পারে।মাদারীপুর জেলা সদর হাসপাতলের মেডিকেল অফিসার ডা. সিহাব চৌধুরী বলেন, মারামারির ঘটনায় মাহিম শেখ নামে আহত একজন জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছে। পরে পুলিশ এসে তাকে হেফাজতে নিয়ে যায়।মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, কিশোর গ্যাং-এর দুইপক্ষের মারামারির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।