মাদারীপুর সদর সাব রেজিষ্টারসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে দলিল টেম্পারিংয়ের অভিযোগে। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের (সদর) বিচারক অভিজিৎ চৌধুরি মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ মামলাটি দায়ের করেন মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকার লিটন মোল্লার স্ত্রী নাজমিন আক্তার। এদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য সাবরেজিস্ট্রার আর্থিক প্রলোভন দেখাচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে। মামলা বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ১৫ মার্চ সুলতান মোল্লা নামে এক ব্যক্তি ১৪৪৪/২০১১ নং দলিল মূলে লিটন মোল্লা ও দুলাল মোল্লা বরাবরে চৌহদ্দি দিয়ে একটি দলিল রেজিস্ট্রি।
এই দলিলের তৃতীয় পৃষ্ঠার ২১ নং লাইন শেষের আগে নুতনভাবে মূল দলিল জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে টেম্পারিং করে কম্পোজ করা হয়েছে এবং বালাম বইতে লাল কালির মাধ্যমে মূল দলিলের উপরের অংশ টেম্পারিং করা হয়েছে। এই ঘটনার সাথে মাদারীপুর সদর উপজেলা সাব রেজিস্টার মিজানুর রহমান, নকলনবিশ দিদার হোসেন ও নিনা আক্তার, দলিল লেখক দিদার হোসেন, সাব রেজিস্ট্রার অফিসের রেকর্ড কিপার বিশ্বদেব দাস ও অফিস সহকারী আলি মিয়া এবং মহিষেরচর এলাকার দুলাল মোল্লা জড়িত এমন দাবি করা হয়। বাদীপক্ষের আইনজীবী জামিনুর হোসেন মিঠু জানান, আসামীরা প্রতারণার মাধ্যমে দলিল টেম্পারিং করেছে যা গুরুতর অপরাধ। তাই গত ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিচারক বিষয়টি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভোষ্টগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আশা করি আমার বাদী ন্যায় বিচার পাবেন। মামলার বাদীর স্বামী লিটন মোল্লা অভিযোগ করে বলেন, মামলা করার পর মামলা তুলে নিতে সাব রেজিস্ট্রার বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিচ্ছেন। এব্যপারে অভিযুক্ত সদর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান বলেন, সব অভিযোগ মিথ্যা। আদালতের মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমেই জবাব দেয়া হবে। জেলা রেজিস্ট্রার মুনিরুল হাসান বলেন, এই বিষয় নিয়ে আমরা নিজেরাই একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে সাজা হবে। এছাড়াও আদালতের মামলায় আদালত যেই রায় দেয় সেটা তো মেনে নিত হবেই।