রাইস মিল (অটোমেটিক, মেজর ও হাস্কিং) থেকে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সরবারহকৃত চালের সুষ্ঠু ব্যবস্থা এবং উৎপাদন ও সরবরাহ মূল্য অবহিতকরণ মতবিনিময় সভা রোববার দুপুরে কালেক্টরেট সভাকক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও জেলা খাদ্য নিযন্ত্রকের কার্যালয়ের সহযোগিতায় চাউল কল মালিকদের সাথে সভা এ সভা করা হয়।
সভা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক নিত্যানন্দ কুন্ডু মিল মিল মালিকদের উদ্দেশ্যে বলেনআগামী ১৪ এপ্রিল থেকে একই জাতের ধান একই দামে বিক্রি করার জন্য বস্তার গায়ে চাল উৎপাদনের তারিখ , মূল্য ও প্র¯‘তকারক প্রতিষ্ঠানের না লেখা মোড়ক বা সিল লাগাতে হবে। অবশ্যই ডিজিটাল প্রিন্ট দিতে হবে। হাতে লেখা যাবে না। কেনার দিন থেকে১ মাসের মিলে বেশি ধান রাখতে পারবে না। ছাটাই ক্ষমতার সর্বো”চ ৩গুন ধান রাখতে পারবে এর বেশি রাখলে অবৈধ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। স্টেনশীল ব্যবহার করতে হবে। মিনিকেট চাল নিয়ে দ্বন্দের সৃষ্টি হয়েছে। মিল মালিকরা বলেন মিনিকেট ধান আছে, খাদ্য নিয়ন্ত্রক বলেছেন নেই,এই নিয়ে দ্ব›দ্ব।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারের উদ্দেশ্য চালের বাজার সহনশীল পর্যায়ে রাখা। এ জন্য আপনাদের সহযোগিতা প্রয়োজন। যেন কোন ভাববে চালের বাজার অস্থিতিশীল না হয়। নির্দেশনা অনুযায়ী তথ্য না পেলে সংশ্লিষ্টদের আইনের আওতায় আনা হবে। এ ছাড়াও মিল মালিকদের তাদের গোডাউনে ধান-চাল মজুদের সক্ষমতার পরিমাণ জানাতে হবে। সেই সক্ষমতার তথ্য যাচাই-বাচাই করা হবে। এমনকি মিলে কী পরিমাণে মজুদ রয়েছে প্রতি সপ্তাহে প্রশাসনকে জানাতে হবে।
এ রহমান পরশ রাইস মিলের স্বত্বাধিকার আনিসুর রহমান বলেন, এটি বাস্তবায়ন হলে বাজার সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমবে। বড় বড় কোম্পানির মালিকরা সিন্ডিকেট করে চালের দাম বাড়ায়, তাদের নাম সামনে আসে না। শুধু মিল মালিকদের নাম সামনে আসে। মিল মালিকদের পাশাপাশি বড় কোম্পানি গুলোর উপর নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।
বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এস এম শাহীন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদুল ইসলাম মিলন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক সমরেন বিশ^াস। এসময় মিল মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।