দাগনভূঞা গাক এনজিও এর ম্যানেজার জহিরুল হক (৪০) এর বিরুদ্ধে নারী গ্রাহককে লোন দেওয়ার কথা বলে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জানুয়ারি সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আলীপুর ভিকটিমের নিজ বসতঘরের সামনে।
দাগনভূঞা গাক এনজিও এর ম্যানেজার জহিরুল হক (৪০) এর বিরুদ্ধে নারী গ্রাহককে লোন দেওয়ার কথা বলে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ জানুয়ারি সকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিন আলীপুর ভিকটিমের নিজ বসতঘরের সামনে।
ভূক্তভোগীর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, গত ১৬ জানুয়ারি সকালে ভিকটিমকে ৫ লক্ষ টাকা লোন দিবে বলিয়া ৫০ হাজার টাকা জামানত নেয়ার জন্য বাড়িতে আসে। টাকা দেওয়ার পর এনজিও ম্যানেজার জহিরুল হক ভিকটিমকে কোনো কিছু না বলে জড়িয়ে ধরে ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিয়ে ধস্তাধস্তি করে জোরপূর্বক যৌন হয়রানির চেষ্টা করে। পরে ভিকটিমের শৌর চিৎকারে আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে বিবাদী কাউকে কিছু বলিলে ভয়-ভীতি দেখিয়ে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে পালিয়ে যায়। তিনি ওই ম্যানেজারকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
এছাড়াও জহিরুল হকের বিরুদ্ধে ওই এনজিও’র সাবেক নারী পরিচ্ছন্নকর্মীকে যৌন হয়রানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ওই পরিচ্ছন্নকর্মী জানান, তিনি বিভিন্ন সময় আমার গায়ে স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দিয়ে যৌন হয়রানি করার চেষ্টা করে। পরে আমাকে চাকরিচ্যুত করে।
অভিযোগ অস্বীকার করে গাক এনজিও ম্যানেজার জহিরুল হক বলেন, আমি ওই গ্রাহক থেকে জামানত বাবদ কোনো টাকা নেয়া হয়নি। তিনি এর আগে ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতেন না। অনেক কালক্ষেপন করে ঋণ ওই সমুদয় টাকা পরিশোধ করে পরবর্তীতে তিনি আবার ৫ লক্ষ টাকা লোনের জন্য আবেদন করে। যেহেতু তিনি কিস্তির টাকা যথা সময়ে পরিশোধ করতেন না। তাই তাকে ঋণ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে তিনি আমার বিরুদ্ধে নানা রকম মিথ্যা অপপ্রচার করে আসছে। ওই পরিচ্ছন্নকর্মীর অভিযোগও অস্বীকার করে তিনি বলেন, পরিচ্ছন্নকর্মীর সাথে অফিসের সাবেক এক হিসাবরক্ষকের সাথে আপত্তিরকর অভিযোগ ওঠায় তাকে ১৫ দিনের মধ্যে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবুল হাসিম জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে।