যশোরে প্রিপেইড মিটার রিচার্জে ডিজিট বিড়ম্বনায় গ্রাহক, বেশি চার্জ কর্তন

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৬ মার্চ , ২০২৪ ১৪:১৫ আপডেট: ৬ মার্চ , ২০২৪ ১৪:১৫ পিএম
যশোরে প্রিপেইড মিটার রিচার্জে ডিজিট বিড়ম্বনায় গ্রাহক, বেশি চার্জ কর্তন
যশোরে প্রিপেইড মিটার রিচার্জের পর ‘ডিজিট’ বিড়ম্বনায় ভুগছেন গ্রাহকেরা। রিচার্জের পর আগে ২০ ডিজিটের বা সংখ্যার একটি টোকেন নাম্বার আসলেও এখন আসছে ১১টি। ফলে ১১টি টোকেন নাম্বারের ২২০টি ডিজিট মিটারে ইনপুট দিতে গিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন গ্রাহক। এ ছাড়া রিচার্জের পর ডিমান্ড চার্য, ভ্যাটসহ অন্যান্য খাতে আগের চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। চলতি মার্চ মাস থেকে এমনটি হচ্ছে বলে গ্রাহকদের দাবি।

যশোরে প্রিপেইড মিটার রিচার্জের পর ‘ডিজিট’ বিড়ম্বনায় ভুগছেন গ্রাহকেরা। রিচার্জের পর আগে ২০ ডিজিটের বা সংখ্যার একটি টোকেন নাম্বার আসলেও এখন আসছে ১১টি। ফলে ১১টি টোকেন নাম্বারের ২২০টি ডিজিট মিটারে ইনপুট দিতে গিয়ে গলদঘর্ম হচ্ছেন গ্রাহক। এ ছাড়া রিচার্জের পর ডিমান্ড চার্য, ভ্যাটসহ অন্যান্য খাতে আগের চেয়ে বেশি টাকা কেটে নেয়া হচ্ছে। চলতি মার্চ মাস থেকে এমনটি হচ্ছে বলে গ্রাহকদের দাবি।

সদরের উপশহরের শফিয়ার হোসেন নামে এক গ্রাহক জানান, প্রিপেইড মিটারে ৩০০ টাকা রিচার্জের পর তার মোবাইল ফোনে ১১টি টোকেন নাম্বার আসে। ১১টি টোকেনের একেকটিতে ২০টি ডিজিট। সবমিলিয়ে ২২০টি নাম্বার রিচার্জ করতে গিয়ে বিরাট সমস্যায় পড়েন। ২২০টি নম্বর ইনপুট দেয়ার পর তার মিটার রিচার্জ হয়। তিনি আরো জানান, ৩০০ টাকা রির্চাজের পর বিভিন্ন খাতে ১৫০ টাকা কেটে নেয়া হয়।জেবা খাতুন নামে আরেক গ্রাহক বলেন, ১৭৮০ টাকা রিচার্জের পর ৫০০ টাকা কেটে নেয়। পাশাপাশি ২২০টি ডিজিট মিটারে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হন। পরে অন্য আরেকজনের সহায়তায় মিটার রিচার্জ করেন।

শহরের ঘোপ নওয়াপাড়া রোডের বাসিন্দা মারুফ কবীর জানান, তিনি ৮০০ টাকা রিচার্জ করে দেখেন ৩’শ টাকা কেটে নেয়া হয়েছে। ডিমান্ড চার্জ ১৬৮ ও ভ্যাট ৩৮ টাকাসহ অন্যান্য খাতে ওই পরিমাণ টাকা কেটে নেয়া হয়। তিনি বলেন, রির্চাজের পর আগের চেয়ে বেশি টাকা কাটা হচ্ছে।যশোরে ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড’র (ওজোপাডিকো) বিদ্যুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, বিভাগ-১’র আওতায় প্রিপেইড মিটারের গ্রাহক প্রায় ২৩ হাজার ও বিভাগ-১’র গ্রাহক ২৫ হাজার।
বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২’র নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মাহমুদ প্রধান জানান, তাদের আওতাধীন ২৫ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ৩ হাজার গ্রাহকের ডাটা কমিনিউকেশন না হওয়ায় ২২০ সংখ্যার ডিজিট আসছে।বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-১’র নির্বাহী প্রকৌশলী নাছির উদ্দীন জানান, বিদ্যুতের নতুন রেট ধার্য হওয়ায় কমিশন ও ভ্যাটসহ অন্যান্য খাতে আগের চেয়ে বেশি টাকা কাটা হচ্ছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo