ঢাকার বেইলী রোডে অগ্নিকান্ডের পর যশোরে বড় বাজারের শপিংমল, দোকানগুলোতে অগ্নি নির্বাপক ব্যব¯’ার দিকে গুরুত্ব দি”েছ যশোর জেলা প্রশাসন। বাজারে অগ্নিকান্ড ঘটলে ব্যবসায়ীরা যাতে অল্পতেই রক্ষা পায় এজন্য ব্যবসায়ীদের সাথে সভা করা হয়েছে। চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত অগ্নি নির্বাপক প্র¯‘তি বিষয়ক সভা মঙ্গলবার কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী প্রকৌশলী দেওয়ান সোহেল রানা বলেন, যশোরের বড় বাজার অগ্নি ঝুকিতে রয়েছে। সেখানকার অধিকাংশ রোডের ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকানো যায় না। পানি বা অর্গ্নিনির্বাপনের ব্যব¯’া নেই। গত বছর এ বষয়ে তৎপরতা শুরু করৗে ব্যবযায়ীরা সেটা বাস্তবায়ন করেনি। শপিং মলে একটি সিড়ি, বিকল্প কোন সিড়ির ব্যব¯’া নেই। যদি কোথায় বিকল্প সিড়ি থাকে, সেখানে মালামাল রেখে বন ্ধ করে রাখা হয়েছে। রোজা বা ঈদের সময় দোকানে অতিরিক্ত লাইটিং করা হয়। সেটা ও অগ্নি ঝুঁকির মধ্যে পড়ে। কারন লোডের তুলনায় বেশি লাইঠিং করলে বৈদ্যুতিক গোল যোগের কারনে অগ্নিকান্ড ঘটতে পারে। বিশেষ দোকান বন্ধ করার সময় মেইন সুইচ বন্ধ করতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের নম্বর জানতে হবে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার বলেছেন, বাজারে ব্যবসায়ীদের অগ্নিকান্ডের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ফায়ার সার্ভিসের নম্বর যদি কারো কাছে না থাকে প্রয়োজনে ৯৯৯ ফোন দিতে হবে। তারপরও প্রতিটি ব্যব¯’া প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্বাপন ব্যব¯’া রাখা উচিৎ। বিশেষ সরকারি পুকুর গুলো রক্ষা করা হ”েছ। কারন পুকুর না থাকলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে করে পানি এনে অগ্নিকান্ড নির্বাপন করা সম্ভব নয়। বেইলী রোডে পানির ব্যব¯’া ছিল বলে ২ ঘন্টায় আগুন নেভানো সম্ভব হয়েছে।
¯’ানীয় সরকার বিভাগরে উপপরিচালক রফিকুল হাসান বলেন, অগ্নিকান্ডের বিষয়ে ব্যবসযায়ীদের সতর্ক থাকতে হবে। সিসি ক্যামেরা সচল রাখতে হবে। নিজেদের প্রতিষ্ঠান নিজেদের রক্ষা করতে হবে।
মটরপার্টস ব্যবযায়ী সমিতির সভাপতি শাহিনুর রহমান ঠান্ডু বলেন ভৈরব নদের ঢাকার রোড ব্রিজ থেকে দড়াটানা ব্রিজ পর্যন্ত ৬টি পানি নেয়ার জন্য পাম্প ¯’াপন করা প্রয়োজন। তাহলে বাজারে অগ্নি কান্ড ঘটলে সহজেই ভেরবের পানি দিয়ে নির্বাপন করা সহজ হবে। বাজােেরর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অগ্নি নির্ভাপন সিলিন্ডার রাখার জন্য কঠোর হতে হবে প্রশাসনকে।
হাটচান্নি মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন বাজারে রাস্তার ধারের ফুটপাত উ”েছদ করে রাস্তা সবসময় ফাকা রাখতে হবে। তাহলে অগ্নি নির্বাপনের জন্য ফায়ারসার্ভিসের গাড়ি ঢুকতে ও বের হতে পারবে।
শড়িকাপর ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি তন্ময় সাহা বলেন বাড়ি করতে হলে পৌরসভা থেকে প্লান পাস করাতে হয়। সেখান থেকে যদি রির্জাব জোনের কথা উল্লেখ করে দেয়া হয়। তাহলে ভবন নির্মান করলে এটা অবশ্যই করবে। ভৈরব নদ সচল রাখতে হবে। যাতে সেখান থেকে পানি নিয়ে অগ্নি নির্বাপন করতে পারে। দোকান বন্ধ করার সময় আইপিএস বন্ধ রাখতে হবে।
ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম বলেন, বাজারে অগ্নি ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ঝুকি নিরসনের কিকি করনীয় সেই বিষয়ে ব্যব¯’া করতে হবে।