অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের কারণে ভোক্তা অধিকার আইনে ২০০৯ এর ৩৯, ৪০, ৫৫ ধারায় এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ড করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান। হাটে মূল্য তালিকা টাঙানো জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছিল।গত ০৪-০৬-২০২৪ ইং তারিখে অতিরিক্ত হাসিল বা টোল আদায় করার কারণে ১০০০০০ টাকা অর্থ দন্ড করা হলেও থেমে নেই অতিরিক্ত হাসিল বা টোল আদায়।
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী যাদুরানি পশুর হাটে আবারও অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগ উঠেছে । যাদুরানী হাটে টোল আদায়ের মূল্য তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক থাকলেও কিন্তু হাটে কোথাও মূল্য তালিকা টাঙানো হয়নি। (১১-৬-২০২৪ ইং) তারিখ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার সময় সাপ্তাহিক যাদুরানি পশু হাটে সরেজমিনে গিয়ে আবারও দেখা যায়, গরুপ্রতি ২৩০ টাকা হারে টোল আদায় করার নিয়ম থাকলেও হাট ইজারাদার তার খুশিমতো নিচ্ছে ৫৫০ টাকা এবং ছাগলের ৯০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও নেওয়া হচ্ছিল ২০০ টাকা। এ বিষয়ে বশলগাঁও গ্রামের গরু ক্রেতা মসলিম বলেন, আমি গরু ক্রয় করেছি এবং আমার নিকট ৫৫০ টাকা নিয়েছে । বনগাঁও গ্রামের মজিবর বলেন, আমি একটি গরু কিনলাম আমারও নিকট ৫৫০ টাকা লেখাই নিলো। প্রতিবাদ করলাম, কিছু করতে পারি নাই।
ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়,পশু কেনা-বেচার যাদুরানি হাটে অতিরিক্ত হাসিল নেওয়া হচ্ছে, এ-কারণে সাধারণ মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়ছে ।ইতিপূর্বে বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় অতিরিক্ত হাসিল বা টোল আদায় বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা ভূমি কমিশনার হরিপুর, অতিরিক্ত টোল বা হাসিলা আদায় করার অভিযোগে যাদুরানি হাট অভিযানে অতিরিক্ত হাসিল আদায়ে জনসাধারণের অভিযোগ শুনেন এবং হাটে অতিরিক্ত হাসিল আদায়কারীকে হাতেনাতে ধরেন।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা ভূমি কমিশনার হরিপুর, ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন অনুযায়ী হাট ইজারাদারকে অতিরিক্ত হাসিল বা টোল আদায়ের কারণে ১ লক্ষ টাকা অর্থ দন্ড করেন গত ০৪-০৬-২০২৪ ইং তারিখ এবং হাটের মূল্য তালিকা টাঙানো নির্দেশ প্রদান করে সতর্ক করা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশ অমান্য করে ১১-৬-২০২৪ ইং তারিখ মঙ্গলবার আবারও অতিরিক্ত হাসিল বা টোল আদায় করেন।সংবাদ পেয়ে দ্রুত যাদুরানি হাটে ছুটে আসেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান ও অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ সেখ সরেজমিনে এসে
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আরিফুজ্জামান বলেন, অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের কারণে ভোক্তা অধিকার আইনে অর্থ দন্ড করা হয়েছে। এর পরে যদি অতিরিক্ত হাসিল আদায় করা হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ইজারাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ হবে।