রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক শহীদুল্লাহ

শামীম খান প্রকাশিত: ৬ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৫:৪৯ আপডেট: ৬ ফেব্রুয়ারী , ২০২৪ ০৫:৪৯ এএম
রঙিন ফুলকপি চাষে সফল কৃষক শহীদুল্লাহ
ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষকরে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাওয়াযাচ্ছে বাজারে নতুন জাতের এই ফুলকপির।

ময়মনসিংহের গৌরীপুরে পরীক্ষামূলক ভাবে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষকরে সফলতা পেয়েছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। ভালো ফলনের পাশাপাশি ভালো দামও পাওয়াযাচ্ছে বাজারে নতুন জাতের এই ফুলকপির।

জানা গেছে, বৃহত্তর ময়মনসিংহে ফসলেরনিবিড়তা বাড়ানোর প্রকল্পের আওতায় ময়মনসিংহের গৌরীপুরে চলতি শীত মৌসুমে প্রথমবারেরমত রঙিন ফুলকপি পরীক্ষামূলকভাবে চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়। প্রথম দিকে স্থানীয় কৃষকরাআগ্রহ না দেখাননি। পরে  আগ্রহ দেখানউপজেলার ডৌহাখলা ইউনিয়নের তাঁতকুড়া গ্রামের কৃষক মোঃ শহীদুল্লাহ।

গত নভেম্বর মাসে কৃষি অফিস থেকে রঙিন ফুলকপির চারা, জৈব সার, কীটনাশক ওপ্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে বাড়ির পাশে সাধারণ ফুলকপি চাষের পাশাপাশি বিশ শতক জমিতেরঙিন ফুলকপি ও পাঁচ শতক জমিতে রঙিন বাঁধাকপি চাষ করেন।৪০ হাজার টাকা খরচ করে চারা রোপণের পর থেকে ৮০ দিনের মধ্যে জমি থেকেফসল উত্তোলন করেন কৃষক শহীদুল্লাহ।সাধারণ ফুলকপি প্রতি পিস ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা দরেবিক্রি হলেও রঙিন ফুলকপি ও রঙিন বাঁধাকপি প্রতি পিস বিক্রি করেন ৬০ থেকে ৭০ টাকায়।ইতিমধ্যে ২ লাখ টাকা কপি বিক্রি করেছেন।ভালো ফলন ও সাধারণ ফুলকপির তুলনায়  বেশি পুষ্টিগুণ ও বাজারে বেশি দাম পাওয়ায় উৎসাহীহয়ে আগামী মৌসুমে পুরো জমিতেই এই রঙিন ফুলকপি চাষ করার আশা করছেন এই আদর্শকৃষক।

কৃষক  মোঃ শহীদুল্লাহ বলেন,সাধারণ ফুলকপি ও রঙিন ফুলকপি চাষাবাদ একই পদ্ধতির ও খরচও সমান। কিন্তু সাধারণ ফুলকপিরতুলনায় বাজারে রঙিন ফুলকপির চাহিদা ও দাম বেশি। আমি কমলা ও বেগুনি রঙের দুটি জাতেরফুলকপি চাষ করেছি।  বাজারে নেওয়া মাত্রই বিক্রিহয়ে যাচ্ছে এসব রঙিন ফুলকপি।

এদিকে প্রথমবারের মতো রঙিন ফুলকপি চাষে কৃষক শহীদুল্লাহর সাফল্য স্থানীয়কৃষকদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তার এই রঙিন ফুলকপির সৌন্দর্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড়করছেন কৃষকসহ উৎসুক মানুষ। তাদের কেউ ফুলকপি কিনছেন, কেউ চাষের বিষয়ে পরামর্শনিচ্ছেন।স্থানীয় চরশ্রীরামপুর গ্রামের কৃষক শহীদুল ইসলাম, কৃষক শহীদুল্লাহ ভাইয়ের রঙিনফুলকপি চাষ দেখেছি। এর চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে আগামীতে এই ফুলকপিচাষ করার আশা করছি।উপজেলা কৃষি অফিসার নিলুফার ইয়াসমিন জলি বলেন, সাদা ফুলকপির চেয়ে রঙিনফুলকপিতে পুষ্টিগুণ বেশি। এই অঞ্চলে এবারই রঙিন ফুলকপি প্রথম চাষাবাদ হয়েছে। তাই আমরাবীজ রোপণের পর থেকে উত্তোলন পর্যন্ত কৃষক শহীদুল্লাহর সাথে যোগাযোগ রেখে সার্বিক পরামর্শদিয়ে গেছি। ভালো ফলন ও ভালো দাম পেয়ে কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এখন অন্যান্যকৃষকরাও যোগাযোগ করছে এই রঙিন ফুলকপি চাষবাদের জন্য।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo