২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার প্রাণকেন্দ্রে বনরুপা জামে মসজিদে পার্বত্য সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদে জুমার নামাজ শেষে এ বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মাইনীমূখ বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ, বাইট্টাপাড়া জামে মসজিদসহ বিভিন্ন মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।
এতে এলাকার ধর্মপ্রান মুসুল্লিরা অংশ গ্রহন করে। এসময় মুসুল্লিরা বলেন মসজিদ হলো আমাদের সবচেয়ে বড় ইবাদতের জায়গা। এখানে আঘাত মানে ধর্মের উপর আঘাত এটা মুসলমানরা বেঁচে থাকতে মেনে নিতে পারি না। বাংলাদেশে শতকরা ৯২ ভাগ মানুষ মুসলিম। আর সেই দেশে মুসলিমদের মসজিদে হামলা করে ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত হানা কোন সামান্য বিষয় নয়। এটা গভীর ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
একটা কুচক্রী মহল পার্বত্য এলাকাকে অসান্ত করতে চায়। তাই এহেন হীন কাজ করে তারা স্বার্থ হাসিল করতে চায়। তারা আরো বলেন এর সুষ্ঠ বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে।উল্লেখ্য যে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়িতে এক বাঙালি যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। যার প্রতিবাদে গতকাল দীঘিনালায় বাঙালিরা প্রতিবাদ মিছিল করতে গেলে উপজাতীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে বাঙালিদের মিছিলে ইট পাটকেল মারলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে দীঘিনালা বাজারে বেশ কয়েকটি দোকান পাটে অগ্নি সংযোগ করে সন্ত্রাসীরা।
পরে সেনাবাহিনী গিয়ে অবস্থা নিয়ন্ত্রণে আনেন। সেই দীঘিনালার ঘটনাকে কেন্দ্র করেই আজ রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল করে উপজাতীয়রা। উক্ত মিছিল থেকেই বনরূপা জামে মসজিদে হামলা চালানো হয় বলে জানা গেছে।আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য প্রসাশন খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে।এদিকে এঘটনায় পার্বত্য চট্টগ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির জন্য ৫আগস্ট পরাজিত স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের চক্রান্ত বলে মনে করেন সুশীল সমাজ। তারা উপজাতি ভাইদের স্বৈরাচারের দোসরদের চক্রান্তে পা না দিয়ে বর্তমান অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে সহযোগিতার আহবান জনান।