লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক মাদ্রসাছাত্রীকে অপহরণের পর লঞ্চে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বুধবার সকালে রায়পুর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গত ২১ এপ্রিল বিকালে এ ঘটনা। ভুক্তভোগী (১৬) মেয়েটি শহরের মালিমা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীতে পড়ে।
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে এক মাদ্রসাছাত্রীকে অপহরণের পর লঞ্চে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বুধবার সকালে রায়পুর থানায় একটি মামলা করেছেন। পুলিশ ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। গত ২১ এপ্রিল বিকালে এ ঘটনা। ভুক্তভোগী (১৬) মেয়েটি শহরের মালিমা মাদ্রাসার ৮ম শ্রেণীতে পড়ে।
ভুক্তভোগী মেয়েটি জানান, চর বংশী ইউনিয়নের বাড়ী হলেও পৌর শহরের হালিমা মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে চর আবাবিল গ্রামের মিছির আলীর ছেলে রং মেস্ত্রী রাকিব (২৫) তাকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করতেন। গত রবিবার শহরের ভাড়া সাবা থেকে গ্রামের বড় বোনের বাসায় যাওয়ার পথে শহরের শহীদ মিনার এলাকা থেকে রাকিবসহ অজ্ঞত আরও ২ জন তার মুখে কাপড় চেপে ধরে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে হাইমচর লঞ্চ ঘাটে একটি লঞ্চের কেবিনে নিয়ে যায়। ওই দিন তাকে লঞ্চের কেবিনে রাবিক কয়েকবার ধর্ষণ করে। রাতে রাকিব তাঁকে বিয়ের কথা বলে বাড়িতে নিয়ে যায়। রাতে রাকিবের মা ও বাবা রাজি না হওয়ায় রাকিবর সকালে আমাকে তাঁদের বাড়ীতে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় মেম্বার ও চেয়ারম্যান এসে বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে মীমাংসা না করায় আমার মা বাধ্য হয়ে থানায় মামলা করে।
ভুক্তভোগীর মা জানান, গত রবিবার বিকালে আমাদের ভাড়া বাসার পাশে রাস্তা দিয়ে বড় বোনের বাসায় যাওয়া পথে রাকিবসহ অজ্ঞাত ২-৩ জন আমার মেয়েকে ক অপহরণ করে সিএনজি অটোরিকশায় তুলে নিয়ে যায়। পরে আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে রাকিব তাঁর বাড়িতে নিয়ে বিয়ের কথা বলে কৌশলে পালিয়ে যায়। একদিন পর আমি রাকিবের বাড়ী থেকে আমার মেয়েকে উদ্ধার করি। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করি। রায়পুর থানার (এসআই) কমল মালাকার বলেন, ভুক্তভোগীর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর জবানবন্দি নিতে লক্ষ্মীপুর বিচারিক আদালতে হাজির করা হবে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।