ফরিদপুর পৌরসভার মেয়রের নিকট থেকে টোকেন হিসেবে কোটি টাকা নিয়ে গত রোববার ১৫ দিন পর ফরিদপুরের পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক বাবু অমিতাভ বোসকে ফরিদপুর পৌরসভায় বসার ব্যবস্থা করে দিয়েছে বলে দুই পৌরসভা কাউন্সিলর সহ একাধিক বিএনপির নেতা কর্মীদের নাম উঠেছে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ ফরিদপুর শহরের আনাচে কানাচে ও চায়ের দোকানে এ নিয়ে সমালোচনা চলছে ।
বিশ্বস্ত সুত্রে জানা যায় , বিএনপি পন্থী দুই কাউন্সিলর মিনাল , সাগর , বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া ও সমাজসেবক অধ্যাপক এম এ সামাদ এর সহযোগীতায় মেয়র অমিতাভ বোসকে ফরিদপুর পৌরসভায় প্রবেশের ব্যবস্থা করে দেয় । ঐ সময় মেয়রের সাথে বিশাল গাড়ির বহর ছিল বলে গুঞ্জন উঠেছে ।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর মিনাল জানান , আমার মায়ের কসম খেয়ে বলছি এই কাজের সাথে আমি জড়িত নই । তিনি আরো জানান, আমি ঐ সময় পৌরসভায় উপস্থিত ছিলাম কাউন্সিলর হিসেবে , কোন টাকা পয়সা লেন্দেন হয়েছে কি না আমার জানান নেই । অপর কাউন্সিলর সাগর জানান , মেয়র পৌরসভায় গিয়েছিলেন শুনে আমি গিয়েছিলাম , আমি যেহেতু পৌরসভার কাউন্সিলর আমার যাবার অধিকার রয়েছে । টোকেন মানি র বিষয়ে আমার কোন কিছু জানা নেই ।
এ ব্যাপারে বিএনপির সহ সভাপতি আব্দুল লতিফ মিয়া জানান , আমি পৌরসভাইয় গিয়েছিলাম আমার বাড়ির পানির বিল দেওয়ার জন্য , বের হয়ে আসার পথে অধ্যাপক এম এ সামাদের সাথে দেখা হয়ে যায় । তিনি আমাকে বলেন , মেয়রের সাথে মুসলিম মিশনের একটি কাজ আছে , ঐ কাজটির সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন মেয়র অমিতাভ । তিনি আরো জানান , দীর্ঘ দিন সাবেক মেয়রের নিকট কাজটি ছিল কিন্তু তিনি কোন সমাধান করে দেননি ।
সেসময় সামাদ সাহেবের অনুরোধে মেয়রের সাথে তার রুমে গিয়ে দেখা করে কথা বলে চলে আসি । যে গুজবটি উঠেছে তা মিথ্যা । ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাড সৈয়দ মোদাররেস আলী ঈসা জানান , আমি শুনেছি শহরে অনেকেই বলাবলি করছে এবং সামাজিক মাধ্যমে ও ছড়িয়ে পড়েছে , তবে আমি টোকেন মানির বিষয়ে কিছুই জানি না । তিনি আরো বলেন , বিষয়টি গুজব ও হতে পারে । টোকেন মানির ব্যাপারে অমিতাভ বোসের সাথে যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যান নি । প্রসঙ্গত , গত ৫ ই আগষ্ট শেখ হাসিনা দেশ ত্যাগের পরে অমিতাভ বোস আত্নগোপনে চলে যায় এবং হঠাৎ করে গত রোববার ১৮ ই আগস্ট পৌরসভায় প্রবেশ করেন ।