শেরপুরে মহারশী, সোমেশ্বরী, ভোগাই, চেল্লাখালী, মৃগী ও পুরাতন ব্রক্ষপুত্র নদের পানি হু হু করে বাড়ছে। তবে এখনও সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে জেলার খাল-বিল ও জলাশয় কানায়-কানায় পূর্ণ হয়েছে। চলমান বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে জেলার সীমান্তবর্তী শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী, নালিতাবাড়ী ও শেরপুর সদর উপজেলায় বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিকে পাহাড়ি ঢলের প্রবল স্রোতে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর কাঁচা বাঁধের কয়েকটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে।
পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে অরক্ষিত এই বাঁধ ভেঙে সদর উপজেলার বাজারসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভবনা রয়েছে।এদিকে মৃগী নদীর পানি বাড়ায় বিভিন্ন এলাকায় কলা চাষি ও মাছ চাষিরা দুশ্চিতায় রয়েছে। ইতিমধ্যে ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ীতে জমিতে উঠতে শুরু করেছে বন্যার পানি। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য মতে, আগামী ৭২ ঘন্টার পুর্বাভাসে শেরপুর সহ আশেপাশের এলাকায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।