শেরপুরের শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী বিপ্লব হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। (২ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার শিমুলচূড়া থেকে শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
শেরপুরের শ্রীবরদীতে এসএসসি পরীক্ষার্থী বিপ্লব হত্যার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। (২ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত উপজেলার শিমুলচূড়া থেকে শ্রীবরদী চৌরাস্তা মোরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
চরকাউরিয়া দড়ি পাড়া গ্রামবাসী ও মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বিপ্লবের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। এতে অংশ নেন নিহত বিপ্লবের বাবা, শিক্ষক, স্থানীয় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা ।সহকারী শিক্ষক মো. রাসেল তার বক্তব্যে বলেন, বিপ্লব খুবই মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। তাকে যারা নৃশংসভাবে হত্যা করছে তাদের ফাসি দাবি করছি।নিহত বিপ্লবের নানি নংফুল বলেন, আমার নাতিকে যারা খুন করেছে তাদেরকে পুলিশ তারাতাড়ি ধরছে না কেন! ধরে ফাসি দিলে আমার আত্মা শান্তি পেতো।
উল্লেখ্য, নিহত বিপ্লব শ্রীবরদীর দহেরপাড় গ্রামের বাসিন্দা নানা হাজি আব্দুল মজিদের বাড়িতে থেকে মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনে পড়ালেখা করত। সে এ বছর এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে পার্শ্ববর্তী মামদামারি কান্দাপাড়া ইবতেদায়ি মাদরাসা মাঠে ওয়াজ মাহফিলে যায় বিপ্লব। সেখানে পার্শ্ববর্তী চরশিমুলচরার মোশাররফ হোসেন নুদার ছেলে ও স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আরিফ হোসেন, বাবু, মনির ও ইউসুব আলীসহ অনেকের সঙ্গে বিপ্লবের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
এরপর ওয়াজ মাহফিল থেকে নানার বাড়ি ফেরার পথে আরিফ ও তার সহযোগীরা বিপ্লবের ওপর হামলা চালিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে তাকে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শ্রীবরদী হাসপাতালে নেন। এ সময় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে নিহত বিপ্লবের বাবা কাবিল মিয়া বাদী হয়ে আরিফ, মোখলেস, মনিরসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো দুইজনসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে শ্রীবরদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কিশোর গ্যাংয়ের প্রধান আরিফসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাইয়ুম খান সিদ্দিকী বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।