সরকারি স্কুলের জানালা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ

মাসুদ রেজা ফিরোজী প্রকাশিত: ৪ নভেম্বর , ২০২৩ ০৭:১৮ আপডেট: ৪ নভেম্বর , ২০২৩ ০৭:১৮ এএম
সরকারি স্কুলের জানালা বন্ধ করে মার্কেট নির্মাণ
মাদারীপুরে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পরিবার। যেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এতে করে স্কুলের জানালা খুলতে না পারার কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন ক্লাশ রুমে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করা হচ্ছে।

মাদারীপুরে সরকারি জমিতে মার্কেট নির্মাণ করেছে স্থানীয় প্রভাবশালী একটি পরিবার। যেখানে মার্কেট নির্মাণ করা হয়েছে সেখানে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে । এতে করে স্কুলের জানালা খুলতে না পারার কারণে অন্ধকারাচ্ছন্ন ক্লাশ রুমে কোমলমতি শিশুদের পাঠদান করা হচ্ছে। বছরের পর বছর পার হয়ে গেলেও বিষয়টি চলতে থাকলেও কোন পদক্ষেপ নেয়নি জেলা বা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।

মাদারীপুর সদর উপজেলার মস্তফাপুর বাজারের সাথেই মস্তফাপুর হাই স্কুল ও ৯৩ নং মস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই সরকারি সড়ক। সড়ক ও স্কুলের মধ্যবর্তী স্থানে সরকারি জমিতে স্থানীয় প্রভাবশালী ও সাবেক চেয়ারম্যান আ. রব খাঁ মার্কেট নির্মাণ করছেন। তিনি সেখানে দোকান ভাড়া দিয়ে কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন । ওই মার্কেট করতে গিয়ে মস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২টি কক্ষের জানালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে এই মার্কেট দেখাশুনা করা ও ভাড়া উত্তোলন করেন আ. রব খাঁর ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব খাঁ। স্থানীয়ভাবে এই পরিবারটি প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কোনো কথা বলতে এখনো সাহস পাচ্ছে না।

৯৩ নং মস্তফাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানায়, আলো কম হওয়ায় তাদের পড়তে ও লিখতে খুবই কষ্ট হয়। এছাড়া প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তাদের ক্লাশ করতে হয়। এতে লেখাপড়া করতে খুবই কষ্ট হয় শিশুদের। স্কুলের শিক্ষিকা নুরুন্নাহার জানান, অনেকদিন যাবৎ এই জানালাগুলো বন্ধ। আমরা জানালা খুলতে পারি না, কারণ স্কুল ভবনের পাশ দিয়ে দোকানগুলো। আগের যারা টিইও ও এটিইও স্যারেরা ছিল তারা সবাই দেখেছে।

এছাড়া আমাদের কমিটির মিটিং-এ আলোচনা হয়েছে। তারা সবাই বলেছে ব্যবস্থা নিবে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা কেউ নেয়নি। বাচ্চাদের পড়ালেখা করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে। দ্রুত জানালা খুলে দিলে আমরা শিক্ষকরা ও আমাদের শিক্ষার্থীরা স্বস্তি পাই। নাম না জানানোর শর্তে মার্কেটের একাধিক ব্যবসায়ী জানান, ২ থেকে ৩ লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে মাসিক আড়াই হাজার থেকে ৩ হাজার মাসিক ভাড়া দিয়ে তারা এখানে দোকান করছে। আগে ভাড়া নিত আ. রব খাঁ নিজে। কিন্তু বর্তমানে তিনি অসুস্থ থাকায় তার ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান সোহরাব খাঁ মাসিক ভাড়া নিচ্ছে। এ অভিযোগের

বিষয়ে অভিযুক্ত রব খাঁ ও তার ছেলে সোহরাব খাঁ কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তাপস কুমার পাল বলেন, আমি নতুন এসেছি। আমি নিজে গিয়ে স্কুলের বর্তমান অবস্থা দেখে জেলা প্রশাসক স্যারের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিব। মাদারীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মাইনুদ্দিন বলেন, বিষয়টি এসিল্যান্ডকে তদন্ত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo