সংবাদ প্রকাশের জেরে এশিয়ান টেলিভিশনের কুষ্টিয়ার স্টাফ রিপোর্টার হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর নৃশংস সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে ঈশ্বরদীর কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ।
গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বিকালে ঈশ্বরদী মডেল প্রেসক্লাব, ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাব ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার আয়োজনে ঈশ্বরদী শহরের ব্যস্ততম এলাকা রেলগেটে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।সেখানেই বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন করেন বিক্ষোভকারীরা।মানববন্ধনে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়।এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভায় ঈশ্বরদী মডেল প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম ফেরদৌস এবং ঈশ্বরদী মডেল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পায়েল হোসেন রিন্টু’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক উত্তর জনতার সম্পাদক শহিদুল হাসান ববি সরদার, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি সহকারি অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, পাকশী ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক আ.ফ.ম রাজিবুল আলম ইভান, ঈশ্বরদী সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি হাজী আসাদুর রহমান বীরু, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ শেখ মহসিন, ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি রিফাজ বিশ্বাস লালন, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সভাপতি হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাধারণ সম্পাদক আজিম হায়দার, ঈশ্বরদী মডেল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি সরাফত হোসেন খাঁন মুন ও সহ-সভাপতি তপন সরদার প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিশুক প্রধান, ঈশ্বরদী উপজেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুর রউফ জোয়াদ্দার, এস টিভি’র ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি আশরাফুল আলম সবুজ, ঈশ্বরদী মডেল প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ডা: আনোয়ারুল ইসলাম, সহ সম্পাদক রফিবুল হাসান রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক মারুফ পারভেজ শ্যামল, এশিয়ান টিভির ঈশ্বরদী উপজেলা প্রতিনিধি রাসেল আলী, সাংবাদিক মিঠুন হোসেন, উজ্জল প্রধান, মুশফিকুর রহমান মিশন, ঈশ্বরদী অনলাইন প্রেসক্লাবের সদস্য রিংকু শেখ, রাজীব পাটোয়ারী, বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ঈশ্বরদী উপজেলা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন আহমেদ জয়, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সুমাইয়া সুলতানা হ্যাপি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মমিন উদ্দিন,প্রস্তাবিত সহ-সভাপতি মোতালেব হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তুহিন হোসেন, প্রস্তাবিত সাংস্কৃতিক সম্পাদক মিঠুন হোসেন, নির্বাহী সদস্য ফিরোজ মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য পপি, নির্বাহী সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, মানবাধিকার কর্মী রন্টু, মুক্তার, সিয়াম প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে ফেসবুকে হাটশ হরিপুর ইউনিয়নের শালদহ এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী শিপন কটূক্তি করলে এই নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ এবং পূর্ব বিরোধের জেরে হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এ হামলা চালানো হয়। ¯’ানীয় একটি বিদ্যালয়ের ব্যব¯’াপনা কমিটির নির্বাচনে হাসিবুর রহমান রিজু সভাপতি সম্ভাব্য প্রার্থী হন। গত ১৯ জুন বুধবার বিকেলে ওই নির্বাচনের মিটিংয়ে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে হরিপুর বাজার¯’ বিদ্যালয়ে মোটরসাইকেল যোগে যা”িছলেন। এসময় পথে ¯’ানীয় প্রভাবশালী শিপন, মুরাদ ও রাজনের নেতৃত্বে কয়েকজন রিজুর শরীরের বিভিন্ন ¯’ানে ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ২০ থেকে ২৫ মিনিট দুই পা, দুই হাত ও মাথায় আঘাত করেন। এ সময় আরও ১৫ থেকে ২০ জন যুবক-কিশোর মারধরকারীদের ঘিরে রাখেন।
রক্তাক্ত অব¯’ায় ঘটনা¯’লে প্রায় আধঘণ্টা ধরে পড়েছিলেন রিজু। সন্ত্রাসীরা এতই প্রভাবশালী যে বাজারে থাকা লোকজন এগিয়ে আসার সাহস পান না। বর্তমানে আহত সাংবাদিক গুরুতর আহত অব¯’ায় ঢাকা ট্রমা সেন্টারে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। দুঃখের বিষয় এ মামলায় এখন পর্যন্ত মূল আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়ে মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর ওপর এমন বর্বোরচিত সন্ত্রাসী হামলায় যারা জড়িত দ্রুত তাদের গ্রেফতার ও তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। সাংবাদিকদের সুরক্ষায় প্রশাসনকে এগিয়ে আসার আহŸানও জানানো হয়।
২০ জুন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আহত সাংবাদিক হাসিবুর রহমান রিজুর স্ত্রী টপি বিশ্বাস কুষ্টিয়া মডেল থানায় বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামায় ২৫ থেকে ৩০ জনকে আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। হাসিবুর রহমান রিজু (৪৫) হাটশ হরিপুর গ্রামের আমজাদ মালিথার ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও ¯’ানীয় দৈনিক সত্য খবর পত্রিকার সম্পাদক। এছাড়াও হাসিবুর রহমান রিজু ভারত-বাংলাদেশ যুব মৈত্রী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি একই সাথে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। পাশাপাশি এলাকায় নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন তিনি।
মো রেজাউল করিম 
