চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্থ হয়ে আহত পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসীম জাওয়াদ চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পাইলট জাওয়াদ ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন দক্ষ চৌকস কর্মকর্তা। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছিলেন দুর্দান্ত মেধাবী।
চট্টগ্রামে প্রশিক্ষণ যুদ্ধ বিমান বিধ্বস্থ হয়ে আহত পাইলট স্কোয়াড্রন লিডার আসীম জাওয়াদ চট্টগ্রাম নৌবাহিনী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পাইলট জাওয়াদ ছিলেন বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একজন দক্ষ চৌকস কর্মকর্তা। স্কুল জীবন থেকেই তিনি ছিলেন দুর্দান্ত মেধাবী।
সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে জাওয়াদ ২০০৭ সালে এস.এস.সি ও ২০০৯ সালে এইচ.এস.সি পরীক্ষায় জিপিএ- ৫ পেয়ে সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। ২০১০ সালে তিনি (বাংলাদেশ এয়ারফোর্স একাডেমি)- তে যোগদান করেন। ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে জাওয়াদ একজন পাইলট অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন।
তিনি PT-6 , L-39ZA , F-7MB, F-BG1 ইত্যাদি যুদ্ধ বিমান চালিয়েছেন দক্ষতার সাথে। তিনি ছিলেন F-7MG1 এর অপারেশনাল পাইলট ও এলিমেন্ট লিডার । "ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে " জাতিসংঘের মিশনে তিনি দায়িত্ব পালন করেন। বিভিন্ন কোর্সে অংশ নেন চীন, ভারত, তুরস্ক ও পাকিস্তানে। দায়িত্ব পালন করেন ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টর'স স্কুল অফ বি.এ.এফ - এ স্টাফ ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে।
প্রশিক্ষণ জীবনে আসীম জাওয়াদ সকল বিষয়ের শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন গৌরবমণ্ডিত "সোর্ড অফ অনার"। "ফ্লাইং ইনস্ট্রাক্টরস" কোর্সে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পেয়েছেন "মফিজ ট্রফি"। এছাড়া তার দায়িত্বশীলতা ও কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার জন্য প্রশংসা পেয়েছেন চিফ অফ এয়ার স্টাফ থেকে। এক কন্যা সন্তানের জনক অসীম জাওয়াদ। ৯ মে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর স্কোয়াডন লিডার অসীম জাওয়াদ সকাল ১০ টায় প্রশিক্ষণ বিমান উড্ডয়নের সময় হঠাৎ আগুন ধরে গেলে কো-পাইলট প্যারাসুটের মাধ্যমে নেমে আসলেও অসীম জাওয়াদ গুরুতরভাবে আহত হয়।গুরুতর আহত অবস্থায় অবস্থায় গৌরবময় জীবন অবসান ঘটেছে নিজের দক্ষ হাতে চালিত যুদ্ধ বিমানেই। (ইন্নালিল্লাহে ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বিমানে আগুন ধরে যাওয়ার পর পাইলট জাওয়াদ ও কো-পাইলট প্যারাসুটের সাহায্যে নেমে আসতে সক্ষম হলেও জাওয়াদ গুরুতর আহত হয়েছিলেন। তাকে নৌবাহিনী হাসপাতালে ভর্তির পর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।