হবিগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি আবু জাহিরসহ দুই শতাধিক আ'লীগের নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের

গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মিছিল বের হয় । উক্ত মিছিলটি হবিগঞ্জ শহরের টাউন হলের কাছে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে।এক পর্যায়ে ছাত্র,জনতাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে পথচারী রিপন শীল বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

হবিগঞ্জ ৩ আসনের সাবেক এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট আবু জাহির কে প্রধান আসামি করে  বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ রিপন শীল হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে ।

গত ৪ আগস্ট দুপুর ১২ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীদের মিছিল বের হয় । উক্ত মিছিলটি হবিগঞ্জ শহরের টাউন হলের কাছে পৌঁছলে সেখানে অবস্থানরত আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সাথে তুমুল সংঘর্ষ বাঁধে।এক পর্যায়ে ছাত্র,জনতাকে লক্ষ্য করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ছোঁড়া গুলিতে পথচারী রিপন শীল বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।

রিপন শীল কে  আহত অবস্থায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত্যু তাকে ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থলে রিপন শীলকে বাঁচাতে গিয়ে তার ভাই শিপন শীলের পেটে গুলিবিদ্ধ হন।এসময় আসামীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে হবিগঞ্জ হাইস্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র মোঃ হামজা সহ আরো অনেক ছাত্র,জনতা ইটপাটকেলে আঘাতপাপ্ত সহ গুলিবিদ্ধ হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট ) নিহতের মাতা রুবী শীল বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।হবিগঞ্জ সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নুরুল আলম জানান , এ মামলায় ৫৯ জনের নাম উল্লেখ করে প্রায় ২ শ জনকে অজ্ঞাত নামা হিসেবে আসামি ভুক্ত করা হয়েছে।

থানা সূত্রে আরো জানা যায় , সাবেক এমপি এডভোকেট আবু জাহির ছাড়াও তার একমাত্র ছেলে ব্যারিস্টার ইফাত জামিল, ভাতিজা মহসিন মিয়া এবং তার ব্যক্তিগত সহকারী সুদীপ দাস, জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি শেখ শামসুল হক, সাধারণ সম্পাদক ও নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এডভোকেট আলমগীর চৌধুরী, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আতাউর রহমান সেলিম, আ’লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শংখ শুভস্কর রায়, জেলা আ’লীগের নেতা মিজানুর রহমান শামীম, জেলা যুবলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী, সাবেক সভাপতি ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতাচ্ছিরুল ইসলাম, লাখাই উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুশফিউল আলম আজাদ, হবিগঞ্জ সদর আ’লীগের সভাপতি আব্দুর রহমান, বানিয়াচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন খান, জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুর রহমান রবিন, সাবেক ছাত্র লীগের সভাপতি সাইদুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি সহ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নাম রয়েছে।