মাদারীপুরে সড়ক সংস্কারের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার কারণে সড়ক সংস্কার করার কাজ শেষ হতে নাহতেই সড়কের বিভিন্ন অংশের পিচ ঢালাই উঠে গেছে।স্থানীয়দের অভিযোগ করেন এলজিইডি কর্তৃপক্ষ তদারকি না করার এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এলজিইডি ভাষ্যে, কাজের মান খারাপ হলে পুনরায় করে দিবে ঠিকাদার। তবে ঠিকাদারের দাবি সঠিক নিয়মে কাজ করা হয়েছে।
সূত্র থেকে জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাংলাবাজার-দুধখালী সড়কের ১ কোটি ২৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে সংস্কার করা হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বিকে এন্টারপ্রাইজ কাজটি সম্পন্ন করে। এই সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার সাথে সাথেই এর বিভিন্ন অংশের পিচ ঢালাই উঠে গেছে যা হাত দিয়ে টানলে উঠে যাচ্ছে পিচ।এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধানে জিওবি মেইনটেন্যান্স প্রকল্পের আওতায় খানাখন্দে ভরা প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের সংস্কার অনুমোদন হয়।স্থানীয়দের অভিযোগ, নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সড়ক সংস্কার করায় কাজ শেষ হতে না হতেই সড়কের কয়েকটি অংশের পিচ ঢালাই উঠে গেছে।
পাথর, বিটুমিনসহ চলমান সংস্কার কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে যান চলাচল করায় এই কার্পেটিং অনেক জায়গায় উঠে গেছে। মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা এলাকার বাসিন্দা নীরব মুন্সী বলেন, কাজ খুবই নিম্নমানের হয়েছে। হাতের সাথেই উঠে যাচ্ছে পিচ। রুটির মত রোলিং হয়ে উঠে যাচ্ছে। গাড়ির চাকার সাথে উঠে যাচ্ছে। স্থানীয়দের দাবি, ঠিকাদারের লোকজন গাছের পাতা ও ময়লা-আর্বজনা পরিষ্কার না করে কাজ করেছেন। নিয়ম অনুসারে কমপ্রেশার মেশিন দিয়ে সড়ক পরিষ্কার করে প্রাইম কোট দিয়ে পিচ ঢালাইয়ের কাজ হওয়ার কথা। তা না করে গাছের পাতা ও ময়লার ওপরই চলেছে কার্পেটিংয়ের কাজ।সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নিম্নমানের বিটুমিন, বালি, পাথরের মিশ্রণে কাজ করায় যানবাহন চলাচলের সময় চাকার সঙ্গে অনেক জায়গার কার্পেটিং উঠে যাচ্ছে।নিম্নমানের কাজ করার অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক আরিফুর রহমান মোল্লা বলেন, ৬ জন ইঞ্জিনিয়ার কাজটি তদারকি করেন। যেভাবে কাজ ধরা আছে ঠিক সেভাবেই কাজটি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম করা হয়নি।সংস্কারকাজে কোনো অনিয়ম হলে পুনরায় কাজ করে দিবে বলে জানিয়েছেন মাদারীপুর এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী বাদল চন্দ্র কৃত্তনীয়া। তিনি বলেন, আমরা সাইট ভিজিট করে যদি অনিয়ম পাই তাহলে ঠিকাদার পুনরায় কাজ করে দিবে।