৪ দফা দাবিতে যবিপ্রবি কর্মচারীদের কর্মবিরতি

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২৯ মে , ২০২৪ ০৫:৫৭ আপডেট: ২৯ মে , ২০২৪ ০৫:৫৭ এএম
৪ দফা দাবিতে যবিপ্রবি কর্মচারীদের কর্মবিরতি
আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্তমুক্তকরণ ও চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়ার সুযোগ প্রদানসহ চার দফা দাবিতে কর্ম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কর্মচারীরা। মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মচারী সমিতির আহ্বানে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। তবে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন যৌক্তিক দাবিগুলো আগেই পুরণ করা হয়েছে।

আপগ্রেডেশন নীতিমালা বাস্তবায়ন, শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্তমুক্তকরণ ও চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়ার সুযোগ প্রদানসহ চার দফা দাবিতে কর্ম বিরতি কর্মসূচি পালন করেছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) কর্মচারীরা। মঙ্গলবার সকাল নয়টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক ভবনের সামনে কর্মচারী সমিতির আহ্বানে এ কর্মবিরতি কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।  তবে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন বলেছেন যৌক্তিক দাবিগুলো আগেই পুরণ করা হয়েছে।

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী সকাল ৯টা থেকে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান করে কর্মচারীরা। এদিন অনেক বিভাগে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলমান থাকলেও দুপুর একটার আগে কর্মচারীরা কাজে যোগদান করেননি বলে জানা গেছে। এতে অনেক বিভাগে ব্যাঘাত সৃষ্টি হলেও সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করায় উপাচার্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান। কর্মসূচির একপর্যায়ে উপাচার্যের প্রতিনিধি, কর্মচারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সাথে আলোচনার আহ্বান জানান। কিন্তু কর্মচারীরা উপাচার্যের সাথে সাক্ষাৎ করেননি।

দাবিগুলো হলো, কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন নীতিমালা প্রদান, শর্তমুক্ত রেয়াত প্রদান,  শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ ব্যক্তিগত নথিতে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে শর্তমুক্তকরণ এবং চাকরির পাশাপাশি লেখাপড়ার সুযোগ শর্তবিহীন প্রশাসনিক অনুমতি প্রদান এবং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সেকশন অফিসার (গ্রেড-১০ম) পদে আপগ্রেডেশন বোর্ড নির্ধারণ করা হয়েছিল। সে মোতাবেক নির্দিষ্ট তারিখ ও সময়ে বোর্ড শুরু হয়ে ২ প্রার্থীর ভাইভা নিয়ে বোর্ড মৌখিক ভাবে স্থগিত করা হয়। উক্ত আপগ্রেডেশন বোর্ড দ্রুত নির্ধারণ করতে হবে।

যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড.মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, কর্মচারীদের জন্য ইউজিসির সমন্বিত নীতিমালা প্রায় প্রস্তুত, যে কারণে আপগ্রেডেশনের নীতিমালার জন্য ইউজিসির কোনো সদস্য না পেয়ে তাদের দাবি অনুযায়ী কর্মচারী সমিতির সভাপতিসহ একজন রিজেন্ট বোর্ড সদস্যকে রেখে কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি আগামী ৩০ জুনের মধ্যে মধ্যে রিপোর্ট জমা দিবেন। তাদের রিপোর্ট অনুযায়ী রিজেন্ট বোর্ড নীতিমালা প্রণয়ন করবে। রেয়াতের বিষয়ে তাদের কোনো চাওয়া থাকলে সেটা নীতিমালায় চলে আসবে।

তৃতীয় দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, যেসব ডিগ্রি চাকরির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় এমন ডিগ্রি অর্জনের জন্য যারা আবেদন করেন তাদের ডিগ্রি বিশ্ববিদ্যালয় গ্রহণ করবে না এমন শর্তে অনুমতি দেয়া হয়। আর চাকরির সাথে সামঞ্জস্যপুর্ণ ডিগ্রির ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয় অবশ্যই শিক্ষার সুযোগ প্রদান করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় সেটা গ্রহণ করে। এটা শুধুমাত্র কর্মচারীদের জন্য না, শিক্ষকদের জন্য ও একই নীতিমালা। বাংলাদেশ সরকারও একই নীতি অনুসরণ করে।

আপগ্রেডেশনের বিষয়ে উপাচার্য বলেন, যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি অনুযায়ী আপগ্রেডেশনের শর্তসমূহ পূরণ করবে তাদের জন্য দ্রুত সময়ের মধ্যে বোর্ড গঠন করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo