কালাই উপজেলা প্রতিনিধি(জয়পুরহাট)
লাগোয়া জমির মালিকদের অবৈধ দখলদারি এবং প্রশাসনের উদাসীনতার কারণে সরকার প্রতিবছর লাখ লাখ টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্থানীয়দের মধ্যে কয়েকজন বৃদ্ধ ব্যক্তির অভিযোগ, বহুকাল যাবৎ প্রশাসনের পক্ষ থেকে দুটি জলাশয়ে নেই কোনো সংস্কার বা মৎস্য চাষের উদ্যোগ। ফলে দুটি জলাশয়ের লাগোয়া জমির মালিকরা বিভিন্নভাবে মাটি দিয়ে ভরাট করে জলাশয়ের জায়গা দখল করে নিজেদের জমির আওতায় নিয়েছে। এর ফলে দুটি জলাশয় এক প্রকার অব্যবহৃত সম্পদে পরিণত হয়েছে এবং সেখানে মৎস্য চাষের সম্ভাবনাও নষ্ট হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, সামসুদ্দিন সরকার মোটরসাইলে নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার শেষে তার মেয়ে জামায়ের পুনট বাজারে অবস্থিত দোকানে যাচ্ছিলেন। সে শান্তিনগরের রাস্তা থেকে মহাসড়কে ওঠার সময় পুনট বাসষ্ট্যান্ডের পূর্ব পার্শ্বে সরকার পাড়ার নতুন ব্রিজ সংলগ্ন ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা জয়পুরহাটগামী একটি কোচ তাকে পিছন থেকে ধাক্কা দিলে স্পটেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে মৃত্য সামসুদ্দিন সরকারের পরিবারের লোকজন তার মৃত দেহটি নিজ গ্রামে নিয়ে যায়।
গত সোমবার রাতে সরজমিনে হাসপাতালে দেখা যায়,লোডশেডিংয়ের কারণে সেখানে বিদ্যুৎ নেই। পুরুষ,মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে আইপিএস দিয়ে মাত্র একটি করে টিউবলাইট জ্বলছে। কয়েকজন রোগী জানান, রিমেল ঝড়ের পর থেকে প্রায়ই বিদ্যুৎ থাকছে না। আইপিএসের কম আলোতে কিছুই স্পষ্ট দেখা যায় না।অন্ধকার,গরম ও মশার হাত থেকে বাঁচতে মোমবাতি,হাতপাখা ও মশার কয়েলের ওপর ভরসা করতে হচ্ছে তাদের। আবার আইপিএসের চার্জ শেষ হলে চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাদের। তখন রোগীর স্বজনরা মোবাইলের লাইট ধরে কেউ হাঁটাহাঁটি করছেন। কেউ অন্ধকারে আলোর অভাবে বসে রয়েছেন। কেউ কেউ মোবাইলের আলো অথবা চার্জার লাইট জ্বালিয়ে রেখেছেন। ফ্যান না চলায় তীব্র গরমে রোগীরা অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছেন। রোগীর স্বজনদের হাতে থাকা হাতপাখা দিয়ে বাতাস করছেন। আলো ও বাতাস না থাকার কারণে মশার উপদ্রবও তখন বেড়ে যায়। তাদের বাধ্য হয়ে হাতপাখা,মোম ও কয়েল ব্যবহার করতে হচ্ছে। অনেক রোগী আলোর অভাবে ঠিকমত খাওয়া-দাওয়াও করতে পারেন না। সেবীকারাও আলোর অভাবে রোগীদের সেবা দিতে পারেন না।পুরো হাসপাতালে তখন যেন এক শুনশান পরিবেশ সৃষ্টি হয়। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কেবলমাত্র আইপিএসের ব্যবস্থা থাকায় সেখানে আলো ও ফ্যান চলছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধ্যবৃত্ত পরিবারের শাকিউল ইসলাম লেখাপড়া শেষে চাকুরীর উদ্দেশ্যে ঢাকা শহরে যায়। সেখানে ইন্টারন্যাশনাল ভাষা শিক্ষা ফোরাম স্পিকিং-24 নামের একটি ওয়েব সাইডের মাধ্যমে তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এরপর ইন্দোনেশীয়ায় গিয়ে ওই তরুণীকে বিয়ে করে দেশে ফিরলেন ।
বিক্রেতারা বলছেন, হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট গরুসহ কোরবানির পর্যাপ্ত পশু আছে। তবে ক্রেতাদের সংখ্যা খুব কম। ক্রেতারা গরুর দাম কম বলছেন। উল্টো কথা বলছেন ক্রেতারা বাজেট অনুযায়ী ছোট ও মাঝারি গরু দামে মিলছে না হাটে। গতবারের তুলনায় এবারে গরুর দাম বেশি মনে হচ্ছে। বিক্রেতাদের দাবি, গোখাদ্যের দাম বাড়ার কারণে পশু পালনে খরচ বেড়েছে। ফলে হাটে যে দাম উঠছে, তাতে লোকসানের শঙ্কা করছেন তাঁরা।
প্রতিবেশীরা জানায়, শিশু রাহাত দুপুরে তার গ্রামে বাবা সেলিমের সাথে মজলিস খেতে যায়। পরে সেলিম তার ছেলেকে বাড়ি রেখে বাজার খরচ করতে যায়। এদিকে শিশু রাহাত বাঁশের কনচিতে সুতা লাগিয়ে বাড়ির সামনে পুকুরে গেলে শিশুটির মা ইতুর চোখে পড়লে তখনই তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
বিশেষ অতিথি মোঃ আজাদুল হক তার বক্তব্যে বলেন, আশা শিক্ষা কর্মসূচির লক্ষ্য হলো শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা এবং গুণগত শিক্ষাকে সহজ ও সবার জন্য উন্মুক্ত করা। এছাড়া তিনি আরো বলেন যে, আশা শিক্ষা কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো বিদ্যালয়ের থেকে শিক্ষার্থী ঝরে পড়া হ্রাস করা, নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের পাঠ আয়ত্ত করতে সহায়তা করা এবং প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের সহায়তা প্রদান করা।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়,উপজেলার জিন্দারপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ কুঁজাইল,করিমপুর ও বেগুনগ্রাম,পুনট ইউনিয়নের পাঁচগ্রাম ও শিকটা গ্রাম, উদয়পুর ইউনিয়নের তেলিহার ও দুধাইল গ্রাম, আহম্মেদাবাদ ইউনিয়নের ঝামুটপুর,হাতিয়ার ও হারুঞ্জা গ্রাম,মাত্রাই ইউনিয়নের উলিপুর ও বানদীঘিসহ বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমির ধান বৃষ্টির পানিতে জমে রয়েছে।বৃষ্টি ও আকাশ মেঘাছন্ন দেখলে আতঙ্কিত হয়ে উঠছেন কৃষকরা। কৃষকরা বিভিন্ন জেলায় ধান কাটার শ্রমিকদের খবর পাঠালেও বাইরের কোনো জেলা থেকে এবার কৃষি শ্রমিক না আসায় শ্রমিকের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এবারে শ্রমিকের মজুরিও অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি। শ্রমিকপ্রতি ৭০০/৮০০ টাকা ছাড়া বর্তমানে কাজ করতে রাজি হচ্ছে না শ্রমিকরা।