টঙ্গিবাড়ি ,উপজেলা সংবাদদাতা
২০২৩ সালের ৮ ই সেপ্টেম্বর উত্তর কামারখাড়া গ্রামের মিজি বাড়ির দিলিপ রায়ের ছেলে দীপ্ত রায় পরিবারের অমতে স্বর্ণা রাণীকে জোরপূর্বক বিয়ে করেন। দীপ্ত রায় এলাকায় ভবঘুরে ও মাদকাসক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। বিয়ের কিছুদিন পরই দীপ্ত ও তার মা ভুক্তভোগীকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন ও মারধর করতেন। স্বর্ণা সেই বিষয়টি তার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের একাধিকবার জানিয়েছিলেন বলে স্বর্ণার পরিবার থেকে জানা যায়।
মৃত তরুনীর কাপড়চোপড় ও শারীরিক অবস্থা দেখে মনে হয়েছে তাকে কেউ শারীরিকভাবে নির্যাতন করে তারপর তাকে হত্যা করা হয়েছে।মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া কবরস্থান থেকে ঐ তরুণীর (২২) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শারীরিকভাবে নির্যাতন ও ধর্ষণের পরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তবে নিহত ওই তরুণীর নাম পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।
মাহিয়া বেগম একই উপজেলার আরিয়ল ফজুশা গ্রামের পাপ্পু মাঝির স্ত্রী।ইউনাইটেড ক্লিনিক হাসপাতালের গাইনি ও প্রসূতি বিশেষজ্ঞ সার্জন আমেনা খাতুন তানিয়া সিজারের মাধ্যমে ঐ তিন সন্তানের প্রসব করান।
এ ছাড়া সেদিন অর্ধশতাধিক গুলিবিদ্ধসহ আহত হন শতাধিক ছাত্র-জনতা এবং এই আন্দোলনে বিভিন্ন সময়ে মুন্সীগঞ্জের আরও ছয় জন ঢাকায় নিহত হন।তাই গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টার দিকে মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজ প্রাঙ্গণে ছাত্র-জনতার সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক সারজিস আলম উপস্থিত হয়ে বলেন, ‘আমাদের বাবা মা আমাদের শিখিয়েছেন, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার হতে হবে।
এসময় তিনি ৩ পরিবারের হাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে আর্থিক অনুদান তুলে দেন।পরবর্তীতে ,নিহতের পরিবারগুলোকে জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ ও সদর উপজেলা প্রশাসন থেকে পৃথকভাবে সহযোগিতার ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের যেসব সুযোগ-সুবিধা রয়েছে যেমন বয়স্কভাতা, চিকিৎসা ভাতা, শিক্ষা বৃত্তিসহ আর্থিক অনুদানের ব্যবস্থা করা হবে।
গ্রামটি পদ্মা নদী থেকে কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে হওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এই গ্রামের অনেকে ।বুধবার (২৮ আগস্ট) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কান্দারবাড়ি গ্রামটিতে পানি থৈ থৈ করছে। মানুষ উঠানের মধ্যে বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কেউবা আবার উঠানের মধ্যে ইট বিছিয়ে এক ঘর হতে আরেক ঘরে যাতায়াত করছে। বেশ কিছুদিন ধরে ওই স্থানের বাড়িগুলো পানিতে তলিয়ে থাকলেও কেউ তাদের খোঁজ খবর নেয়নি বলেও জানান ভুক্তভোগীরা।
জেগেছেরে জেগেছে ছাত্র জনতা জেগেছে ,লেগেছেরে লেগেছে বুকে আগুন লেগেছে উক্ত স্লোগানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করার দাবি জানিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশের এক বিশাল রেলি বের করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
একটি স্ট্যাম্পে অধ্যক্ষের স্বাক্ষরিত ওই পদত্যাগপত্রটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে লেখা রয়েছে- ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সরাসরিভাবে অবস্থান করে ছাত্র-জনতার নিকট পদত্যাগ করলাম। প্রতিষ্ঠানের ভিতরে ও বাইরে আমি কোন নিরাপত্তা দিতে নাপারায় ব্যর্থ হই।