সভায় সভাপতি বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার দুর্ঘটনার তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জানান, অক্টোবর মাসে যশোর জেলায় ১২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত ৭ জন ও আহত হয়েছে ২৯ জন। বেশি আহত ও নিহত হয়েছে সদর উপজেলায়। সদরে ৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ও আহত হয়েছে ১৪ জন। ঝিকরগাছায় ২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ও আহত হয়েছে ৮ জন , বাঘারপাড়ায় ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ও আহত হয়েছে ৩ জন, চৌগাছায় ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ও আহত হয়েছে ২জন। চৌগাছায় ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত হয়েছে ১জন , মনিরামপুরে ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩।সভায় আরো তথ্য উপস্থাপনের জানানো হয়, গ্রাম আদালতে উপজেলা ভিত্তিক মোট ৪৩৫টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তিদ হয়েছে ২৪২টি। অনিষ্পত্তি মামলা রয়েছে ১৯৩টি। যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেসব ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। গ্রাম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য ডিস্টিক ম্যানেজার মহিতোষ কুমার রায়কে নির্দেশ দেন। সেই সাথে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।গ্রাম আদালতের ডিস্টিক ম্যানেজার মহিতোষ কুমার রায় বলেন, মোট মামলার মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে মামলা পাঠিয়েছে ১৪৭টি। ৫ আগস্টের পর অনেক চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্চে। তার উপস্থাপন করা তথ্যের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট কমলেশ মজুমদার।যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোরাদ আলী বলেন পৌরসভার উদ্যোগে শহরের যানজট নিরসনে লাইসেন্স বিহীন ইজিবাইক অটোরিক্সা আটক করা হয়। সেই সাথে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দেখা গেছে সকালে উচ্ছেদ করা হলে বিকেলে দখল হয়ে গেছে। অবৈধ্য স্থাপনা উচ্ছেদের পর কেন আবার দখল হয়ে যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা বন্দের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে আইন প্রয়োগ করে কাজ হবে না।সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন ডেঙ্গু বেড়েই চলেছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৬টি রোগী ভর্তি আছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। পৌরসভা থেকে এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করলে ডেঙ্গু কমতে পারে। সেই সাথে সবাই নিজ দায়িত্বে বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অর্থ ও প্রশাসন) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় চেকপোষ্ট বসানোর পাশাপাশি অভিযান চালাছে।তারপর হত্যাকান্ড ঘটেছে। সব হতাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। শুধু পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না, নিজেদের নিরাপত্তা ব্যব¯’া নিজেদের করতে হবে।রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন যানজট নিরসনের বিষয়ে গত আইন শৃঙ্খরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। শহরে ইজিবাইক, অটোরিক্সার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ক্লিনিকগুলো পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় তার সামনে যানবাহন দাড় করিয়ে রাখায় যানজটেপর সৃষ্টি হচ্ছে। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিব হাসান, কলকারখানা প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবপক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উস্থিত ছিলেন।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার আরো জানান, অক্টোবর মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যশোর জেলায় ১০৮টি অভিযানে মামলা হয়েছে ১০৬টি জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ১০১টি অভিযানে মামলা হয়েছে ১০৩টি জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৫০ টাকা। ফোজদারি কার্যবিধির আওতায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অক্টোবর মাসে খুন হয়েছে ১২টি, অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১২টি। থাকলে প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন মিরাজুল কবীর টিটো সদর উপজেলা প্রতিনিধি যশোর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা রোববার সকালে কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়।সভায় সভাপতি বক্তব্যে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার দুর্ঘটনার তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জানান, অক্টোবর মাসে যশোর জেলায় ১২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহত ৭ জন ও আহত হয়েছে ২৯ জন। বেশি আহত ও নিহত হয়েছে সদর উপজেলায়। সদরে ৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২ ও আহত হয়েছে ১৪ জন। ঝিকরগাছায় ২টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ও আহত হয়েছে ৮ জন , বাঘারপাড়ায় ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ও আহত হয়েছে ৩ জন, চৌগাছায় ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১ ও আহত হয়েছে ২জন। চৌগাছায় ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২, আহত হয়েছে ১জন , মনিরামপুরে ১টি সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ৩।সভায় আরো তথ্য উপস্থাপনের জানানো হয়, গ্রাম আদালতে উপজেলা ভিত্তিক মোট ৪৩৫টি মামলার মধ্যে নিষ্পত্তিদ হয়েছে ২৪২টি। অনিষ্পত্তি মামলা রয়েছে ১৯৩টি। যেসব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত রয়েছে দীর্ঘদিন ধরে। সেসব ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। গ্রাম আদালতের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করার জন্য ডিস্টিক ম্যানেজার মহিতোষ কুমার রায়কে নির্দেশ দেন। সেই সাথে অপরাধমূলক কর্মকান্ড বেড়ে যাওয়া উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।গ্রাম আদালতের ডিস্টিক ম্যানেজার মহিতোষ কুমার রায় বলেন, মোট মামলার মধ্যে উচ্চ আদালত থেকে গ্রাম আদালতে মামলা পাঠিয়েছে ১৪৭টি। ৫ আগস্টের পর অনেক চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় কার্যক্রম বিঘ্নিত হয়েছে। তার উপস্থাপন করা তথ্যের প্রেক্ষিতে এ কথা বলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট কমলেশ মজুমদার।যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোরাদ আলী বলেন পৌরসভার উদ্যোগে শহরের যানজট নিরসনে লাইসেন্স বিহীন ইজিবাইক অটোরিক্সা আটক করা হয়। সেই সাথে অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। দেখা গেছে সকালে উচ্ছেদ করা হলে বিকেলে দখল হয়ে গেছে। অবৈধস্থাপনা উচ্ছেদের পর কেন আবার দখল হয়ে যায়, সে বিষয়ে গুরুত্ব দেয়া হবে। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা বন্দের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তা না হলে আইন প্রয়োগ করে কাজ হবে না।সিভিল সার্জন ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন ডেঙ্গু বেড়েই চলেছে। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৬টি রোগী ভর্তি আছে। মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। পৌরসভা থেকে এডিস মশার লার্ভা নষ্ট করলে ডেঙ্গু কমতে পারে। সেই সাথে সবাই নিজ দায়িত্বে বাড়ির আঙ্গিনা পরিষ্কার রাখতে হবে।অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অর্থ ও প্রশাসন) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় চেকপোষ্ট বসানোর পাশাপাশি অভিযান চালাছে। তারপর হত্যাকান্ড ঘটেছে। সব হতাকান্ডের তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। শুধু পুলিশ নিরাপত্তা দিতে পারবে না, নিজেদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিজেদের করতে হবে।রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক বলেন যানজট নিরসনের বিষয়ে গত আইন শৃঙ্খরা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সেটা বাস্তবায়ন হয়নি। শহরে ইজিবাইক, অটোরিক্সার কারনে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে ক্লিনিকগুলো পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় তার সামনে যানবাহন দাড় করিয়ে রাখায় যানজটেপর সৃষ্টি হচ্ছে। এ সময় বক্তব্য রাখেন জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিব হাসান, কলকারখানা প্রতিষ্ঠানের উপমহাব্যবস্থাপক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কমলেশ মজুমদার আরো জানান, অক্টোবর মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে যশোর জেলায় ১০৮টি অভিযানে মামলা হয়েছে ১০৬টি জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৩ হাজার ৭০০ টাকা। সেপ্টেম্বর মাসে ১০১টি অভিযানে মামলা হয়েছে ১০৩টি জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৫০ টাকা। ফোজদারি কার্যবিধির আওতায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অক্টোবর মাসে খুন হয়েছে ১২টি, অন্যান্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে ১২টা।
এসএম মিরাজুল কবীর টিটো 
