লাখাইয়ে মিরপুর মুকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল সনদে দপ্তরি নিয়োগ পায় পাবেল মিয়াঃ

পারভেজ মিয়া প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর , ২০২৪ ১৭:৪০ আপডেট: ১৩ নভেম্বর , ২০২৪ ১৭:৪০ পিএম
লাখাইয়ে মিরপুর মুকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল সনদে দপ্তরি নিয়োগ পায় পাবেল মিয়াঃ
পারভেজ হাসান লাখাই থেকে, লাখাই উপজেলার ৬ নং বুল্লা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মিরপুর মুকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে দপ্তরি চাকুরি করছেন পাভেল মিয়া।

পারভেজ হাসান লাখাই থেকে, লাখাই উপজেলার ৬ নং বুল্লা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মিরপুর মুকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ দিয়ে দপ্তরি চাকুরি করছেন পাভেল মিয়া।অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়,মিরপুর গ্রামের আব্দুল লতিফ মিয়ার ছেলে পাবেল মিয়া বানোয়াট শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ দিয়ে অবৈধভাবে মিরপুর মুকসুদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি পদে নিয়োগ লাভ করেন গত ২২শে মে ২০১৭ ইংরেজি তারিখে এবং যোগদান করে ২৩শে মে ২০১৭ ইংরেজি।নিয়োগদানের পর থেকে সে নিয়মিত স্কুলে আসা-যাওয়া করে নাই বলে অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনি। জাল সনদে নিয়োগ লাভ করায় পাবেল মিয়ার বিরুদ্ধে ৭ জুন ২০২২ সালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন মুসকুদপুর গ্রামের মৃত গাজী মিয়ার ছেলে ছমির উদ্দিন। সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, পাভেল মিয়ার বিরুদ্ধে বিগত ১৬ এপ্রিল ২০২৩ তারিখের লাখাই থানা জলিল মিয়া হত্যা মামলা রইয়াছে।সে এই মামলায় চার্জশিট ভুক্ত আসামি। চার্জশিটভুক্ত আসামী হওয়া সত্ত্বেও অদৃশ্য কারণে তার বিরুদ্ধে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। অভিযোগ পত্রের উল্লেখিত মামলা এফ আই আর নং ১০, ২০২৩। এ ব্যাপারে পাভেল মিয়া কে জিজ্ঞেস করলে তার শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন সৎ উত্তর দিতে পারেনি।পাভেল মিয়ার ব্যাপারে মিরপুর গ্রামের হাসেম আলীর পুত্র শহীদ মিয়া জানান নিয়মিত সে বিদ্যালয়ে আসে না এবং সে একজন নেশাগ্রস্ত ভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত।তার ভয়ে কেউ কথা বলে না। প্রাইমারি গণ্ডি পেরিয়ে কখনো হাইস্কুলে ভর্তি হয়নি পাবেল মিয়া।সাবেক মেম্বার নোয়াজ আালী জানান সে হত্যা মামলার চার্জশিট ভুক্ত আসামি সে কোথাও লেখাপড়া করে নাই। পাবেল মিয়ার বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ জানান, আমার যোগদানের পূর্বে পাবেল মিয়ার নিয়োগ হয়েছে এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারব না।পাভেল মিয়ার নিয়োগ সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র আমার বিদ্যালয়ে নেই। উক্ত বিষয়টি নিয়ে ATO প্রনব কান্তি মালদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যেহেতু আমি আপনাদের মাধ্যমে শুনেছি পাভেল মিয়ার বিষয়ে। আমি উক্ত বিষয়টি খোঁজ নিয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানার সাথে সরজমিনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান,এ বিষয়ে আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আছে।তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। সে হত্যা মামলার সার্জসিট ভুক্ত আসামি হিসেবে জিজ্ঞাস করলে, তিনি বলেন সরকারি চাকুরিতে ফৌজদারি মোকাদ্দমা আসামি কেউ যদি হয় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo