ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এই মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।’
ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ ছিল ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এই মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা। এ বিষয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই।’
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত মিট দ্য প্রেসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রমজানে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেলের স্থানীয় উৎপাদন ও আমদানি পর্যায়ের ভ্যাট পাঁচ শতাংশ কমায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান (এনবিআর)। ভ্যাট ছাড়ের এ মেয়াদ শেষ হওয়ায় তেলের দাম আগের অবস্থায় নেওয়ার প্রস্তাব করেছেন মিল মালিকরা।
সোমবার বাণিজ্যসচিবকে চিঠি দেন মিল মালিকরা। সেখানে বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম প্রস্তাব করা হয়েছে ১৭৩ টাকা, পাঁচ লিটার ৮৪৫ টাকা এবং খোলা এক লিটার পাম তেলের দাম ১৩২ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাম বৃদ্ধির কথা জানানো হয়।
আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘ভ্যাট ছাড়ের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আমাদের ট্যারিফ কমিশন কাজ করছে। মিলাররা কী দামে তেলের কাঁচামাল আনছেন, দাম কেমন পড়ছে– এ বিষয়গুলো দেখা হচ্ছে। তবে তেলের দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই এটা বলতে পারি।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে তিনি বলেন, ‘চিঠির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চিঠি আমি এখনও পায়নি। পাঠিয়ে থাকলে অফিসে গিয়ে দেখতে হবে।’
ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) পণ্য বিক্রির জটিলতা কাটাতে স্থায়ী দোকান করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘টিসিবির পণ্যগুলো এতোদিন বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ীভাবে বিক্রি হতো। আমরা চেষ্টা করছি, আগামী দু-এক মাসের মধ্যে টিসিবির দোকানগুলোকে স্থায়ী জায়গায় নিয়ে আসার, যাতে মানুষের একটি দিন নষ্ট না হয়। তারা যাতে সেখানে গিয়ে ন্যায্যমূল্যে পণ্য নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেন, সেটার একটা কার্যক্রম আমরা চলমান রেখেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘টিসিবি সাধারণত একত্রে চার থেকে পাঁচটি পণ্য সরবরাহ করে। কিন্তু অনেক সময় এমন হয়, একটি পণ্য পৌঁছাতে দেরি হলে জেলা প্রশাসকরা বাকি পণ্যগুলোকেও আটকে রাখেন, সবগুলো একত্রে দেবেন বলে। কিন্তু আমি যখন স্থায়ী দোকান করে দেবো, তখন যে মাল যখনই দোকানে চলে যাবে, তখনই সেটা বিক্রি শুরু হবে।’
ডিআরইউর সাধারণ সম্পাদক মহি উদ্দিনের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভ।