কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কালাই উপজেলায় গত বছর ১০ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছিল ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন। এবার মোট ১০ হাজার ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯ মেট্রিক টন আলু। উপজেলার মোট ১১টি হিমাগারের ধারন ক্ষমতা ১লক্ষ ১১ হাজার ৭শ ২০ মেট্রিক টন। যেখানে শুরুতে মজুদ ছিল ১লক্ষ ১২ হাজার ১শ ১৩ মেট্রিক টন। বর্তমানে হিমাগারে মজুদ আছে প্রায় ১লক্ষ মেট্রিক টন আলু। এরমধ্যে বীজ আলু রয়েছে ৩৫ হাজার ৫শ ৩৯ মেট্রিক টন।
বলা হয় আলু আর ধান কালাই এর প্রাণ। আলু উৎপাদনে বাংলাদেশের শীর্ষ জেলা মুন্সীগঞ্জের পরেই দ্বিতীয় অবস্থান জয়পুরহাটের কালাই উপজেলা। সেখানেই আলুর দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ টাকা।আলুর দাম বাড়ার কারণে প্রভাব পড়েছে সাধারন ভোক্তাদের মাঝে। হিমাগার ও ব্যবসায়ীদের দাবি আলুর ফলন কম এবং বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারনেই বাজারে প্রতিদিন আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এভাবে যদি বাড়তে থাকে তাহলে কেজিপ্রতি ১শ টাকা করে কিনে খেতে হবে ভোক্তাদের।
জানা গেছে, জয়পুরহাটের কালাইয়ে গত দুই সপ্তাহ আগে আলুর জাত ভেদে কেজিপ্রতি স্টিক জাতের আলু ছিল ৪৫ টাকা, ক্যারেজ ও গোল পাকরি আলু ছিল ৫০ টাকা। বর্তমানে সেই আলু বাজারে কিনতে হচ্ছে কেজিপ্রতি স্টিক জাতের আলু ৫৫ টাকা এবং ক্যারেজ ও গোল পাকরি আলু ৬৫ টাকা।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কালাই উপজেলায় গত বছর ১০ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছিল ২ লক্ষ ৩০ হাজার ৪৯ মেট্রিক টন। এবার মোট ১০ হাজার ৬শ ২০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়েছে ২ লক্ষ ১৭ হাজার ৭৯ মেট্রিক টন আলু। উপজেলার মোট ১১টি হিমাগারের ধারন ক্ষমতা ১লক্ষ ১১ হাজার ৭শ ২০ মেট্রিক টন। যেখানে শুরুতে মজুদ ছিল ১লক্ষ ১২ হাজার ১শ ১৩ মেট্রিক টন। বর্তমানে হিমাগারে মজুদ আছে প্রায় ১লক্ষ মেট্রিক টন আলু। এরমধ্যে বীজ আলু রয়েছে ৩৫ হাজার ৫শ ৩৯ মেট্রিক টন।
গত বছরের অক্টোবরে কেজিপ্রতি ৭০ টাকা আলু কিনতে হয়েছিল ভোক্তাদের। এ বছরের প্রায় ৪ মাস আগেই কেজিতে আলু কিনতে হচ্ছে ৬৫ টাকায় । বর্তমান আলুর দাম অনুযায়ী ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন সাধারণ ভোক্তা, ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকরা।
আলু সংরক্ষণকারী কৃষকরা জানান, তারা যখন আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করেন, তখন কোনো লিখিত দেননি যে ভাড়া বাড়াবে হিমাগার কতৃপক্ষ। গত বছরের ন্যায় এবারও বস্তাপ্রতি ভাড়ার দাম বাড়িয়েছে প্রায় ৭০ টাকা। হিমাগার মালিকরা ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে তা দেখার কেউ নেই।
আলু ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরের ন্যায় এবারও আলু উৎপাদন কম। চাহিদা অনুযায়ী আলুর যোগান না দেওয়ার কারনে এই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে হিমাগার মালিকরা আলু সংরক্ষণের ভাড়াও বৃদ্ধি করেছে। তাই এই মূহুর্তে সরকার যদি দেশের বাহির থেকে আলু আমদানি না করেন তাহলে কেজিপ্রতি ১শ টাকার উপরে আলু কিনতে হবে ভোক্তাদের।
হিমাগার মালিকরা জানান, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি ও ভুতুড়ে বিলের কারণে তারা আলু সংরক্ষণের ভাড়া বাড়িয়েছেন।
কালাই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা খবর কে অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, দেশে এবারও প্রচুর পরিমান আলু উৎপাদন হয়েছে। আলুর দাম দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ১৫ টাকা বৃদ্ধি হওয়াটা দুঃখজনক ব্যাপার। বিষয়টি নিয়ে দ্রুত তদারকি করা হবে।