দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল আযহা। ঈদুল আযহা মূলত আরবি বাক্যাংশ। এর অর্থ হলো 'ত্যাগের উৎসব'। এই উৎসবের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল ত্যাগ করা।এই ঈদে মানুষ স্ব-স্ব আর্থিক সামর্থ্য অনুযায়ী দুম্ভা,গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ ও উট আল্লাহর নামে কোরবানি করে।
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সিলেটের ওসমানীনগরে কামার পল্লীগুলোতে বেড়েছে কর্মব্যস্ততা । টুং টাং শব্দে দা, বটি, ছুরিসহ মাংস কাটার বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরিতে ব্যস্ত তারা। এসব সরঞ্জাম নতুন ভাবে তৈরি এবং পুরনোগুলোতে শান দিতে যেনো দম ফেলার সময় নেই তাদের। তবে কয়লা, লোহাসহ সবকিছুর দাম বেড়ে যাওয়ায় আগের মতো লাভ হয় না বলে দাবি কামারদের।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সারা বছর কাজ সীমিত থাকলেও কোরবানির ঈদের এ সময়টাতে বেড়ে যায় কামারদের কর্মব্যস্ততা। ঈদকে ঘিরে আশার আলো দেখছেন কামাররা। নাওয়া-খাওয়া ভুলে অবিরাম কাজ করে যাচ্ছেন বিভিন্ন ধরনের চাপাতি, ছুরি, বটি ও চাকু তৈরিতে। যতই ঈদের দিন ঘনিয়ে আসবে ততই বাড়বে তাদের ব্যস্ততা।
রাজু আহমদ নামে এক ক্রেতা বলেন,অন্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, চাপাটির দাম একটু বেশি। ঈদ এলে লোহার দাম না বাড়লেও চুরি, চাকুর দাম ঠিকই বেড়ে যায়।
কামার শিল্পীরা জানান, ছোট ছুরি ৩০ থেকে ৩০০ টাকা। বড় ছুরি ৩০০ থেকে ১৫০০ টাকা,আর বঁটি প্রতি পিস ৩০০ থেকে ৭৫০ টাকায় বিক্রি করছেন তারা। এছাড়াও দেশি- বিদেশি চাপাতি বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে।
গোয়ালাবাজারে বঁটি কিনতে আসা হুমায়ুন আহমদ নামের এক ক্রেতা বলেন, আমি একটি নতুন বঁটি কিনেছি ৪০০ টাকা দিয়ে আর একটি পুরাতন বঁটি শান দিয়েছি ১২০ টাকায়।
গোয়ালাবাজারের কর্মকার হেভেন্ড ধর জানান, আমরা অপেক্ষা করি কোরবানির ঈদের জন্য। সারা বছর আমাদের কাজ নেই বললেই চলে৷ কোরবানি ঈদ আসলে আমরা একটা আশায় থাকি।সারা বছর আমাদের ব্যবসা মন্দা। কোরবানি ব্যতীত অন্য মাসগুলো আমরা কোন মত দিন পার করি । ঋণ করে চলতে হয় আমাদের। এ কারনে অনেকেই পেশা বদলিয়ে অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়েছে।