কক্সবাজারে সাগরে ভেসে আসা লাশ নিয়ামতপুরের কলেজ ছাত্র সাগরের

সবুজ সরকার প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর , ২০২৩ ১১:২৯ আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর , ২০২৩ ১১:২৯ এএম
কক্সবাজারে সাগরে ভেসে আসা লাশ নিয়ামতপুরের কলেজ ছাত্র সাগরের
অনেক কষ্ট করে মানুষের কাজ করে ছেলেটিকে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। ছেলের পড়াশোনায় কোনো সমস্যা যেন না হয় সে জন্য এনজিও ও ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রতি মাসে টাকা পাঠিয়ে দিতাম।

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের দরিয়ানগর সৈকত এলাকা থেকে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার হওয়া লাশের পরিচয় মিলেছে। গতকাল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর )সকালে দরিয়ানগর পয়েন্টে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধার হওয়া তরুণের নাম সাগর হোসেন (১৮)। তিনি নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ছাতমা গ্রামের আলম মণ্ডলের ছেলে। কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়সার হামিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সাগর হোসেন রাজশাহী শাহ মখদুম কলেজের বিজ্ঞান বিভাগে এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ৪ ডিসেম্বর তিনি গ্রামের বাড়ি এসেছিলেন। তবে কীভাবে কার সঙ্গে কক্সবাজার গিয়েছিলেন তা পরিবারের কেউ জানাতে পারেনি। পরিবারে বাবা-মাসহ তাঁর পাঁচ বছরের বোন রয়েছে। সাগরের লাশ নেওয়ার উদ্দেশ্যে কক্সবাজারে রওনা দিয়েছেন তাঁর বাবাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।

সাগরের মামা হেলাল উদ্দিন বলেন, গতকাল বুধবার দুপুরে ফেসবুকে ভিডিও দেখে তিনি ভাগনে সাগরকে চিনতে পারেন। বাড়ির কাউকে কিছু না জানিয়ে কার সঙ্গে সে কক্সবাজার গেল, তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়ে গেছে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

সাগরের মা দোলেনা বেগম বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে মানুষের কাজ করে ছেলেটিকে পড়াশোনা করাচ্ছিলাম। ছেলের পড়াশোনায় কোনো সমস্যা যেন না হয় সে জন্য এনজিও ও ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে প্রতি মাসে টাকা পাঠিয়ে দিতাম। পড়াশোনায় ভালো হওয়ায় প্রতিবেশীরাও সহযোগিতা করত। আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তার সেই স্বপ্ন আর পূরণ হলো না।’ বলেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।

দোলেনা বেগম আরও বলেন, ‘আমার ছেলেকে সেখানে কে নিয়ে গেল, কীভাবে নিয়ে গেল, তার সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমার সোনার মানিক তো আর ফিরে আসবে না।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কায়সার হামিদ বলেন, ‘পরিবারের সদস্যরা লাশ নেওয়ার জন্য রওনা দিয়েছেন বলে জানতে পেরেছি। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাঁদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo