কমলগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘর সহ সবজি বাগান পুড়ে ছাই; ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি

জায়েদ আহমেদ প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:২৯ আপডেট: ১৭ এপ্রিল , ২০২৫ ১২:২৯ পিএম
কমলগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে ঘর সহ সবজি বাগান পুড়ে ছাই; ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মূহুর্তে পুড়ে ছাই হলো আহমদ মিয়ার সবজি বাগানের একটি আধাপাঁকা ঘরসহ আট হাজার চটি ও সাড়ে চার হাজার সবজির চারা

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মূহুর্তে পুড়ে ছাই হলো আহমদ মিয়ার সবজি বাগানের একটি আধাপাঁকা ঘরসহ আট হাজার চটি ও সাড়ে চার হাজার সবজির চারা। সব মিলিয়ে ক্ষয়ক্ষতি পরিমান প্রায় চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা বলে জানিয়েছে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক আহমদ হোসেন। এ বিষয়ে কমলগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও  
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি।

মঙ্গলবার(১৫ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মাধবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পিছনে সুন্দরবন সংলগ্ন মরা নদী নামক স্থানে অবস্থিত সবজি বাগানে এ ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, কৃষক আহমদ মিয়ার অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে। এখন সবজির দাম একেবারে কম। অনেক টাকা খরচ করে তিনি সবজি চাষ করছেন। এছাড়াও সবজি বাগানে বানানো ঘর ও মালামাল পুড়ে চাই হয়ে গেছে। এতে করে ৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি সাধন হয়েছে।

কৃষক আহমদ হোসেন জানান, মাধবপুর চা বাগানের সুন্দরবন সংলগ্ন মরা নদী নামক স্থানে অবস্থিত সবজি বাগানে আমার কর্মরত শ্রমিকদের মজুরি দিয়ে রাত এগারোটার দিকে কমলগঞ্জ পৌরসভাধীন কুমড়াকাপন নিজ বাড়িতে যাওয়ার পর আমার কাছে খবর আসে আমার সবজি বাগানে আগুন লেগেছে। রাতে পাহারা দেওয়ার জন্য এখানে আমার একটি ঘর ছিল যেটায় আমার যাবতীয় মালামাল থাকতো। আগুন লাগার আগের দিন রাতে প্রায় দেড় দুই লাখ, সার, কিটনাশক, পলিথিন, পানির পাম্প, দেড় হাজার ফুট পাইপ এনেছি। তাছাড়া মাড়াইকৃত ১৫ টিন আখেঁর গুড় ছিল। সব মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমার ৫ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, আমি রাতে থানা পুলিশকে অবগত করেছি, তারা এসে দেখে গেছে। আমার একই ইউনিয়নের কাটাবিল এলাকার কিছু লোকের সাথে আমার পূর্ব বিরোধ ছিল হয়তো তারাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে। আমি এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আমি সর্বশ্রান্ত হয়ে গিয়েছি। যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের কাছে।

কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কোনো অভিযোগ হয়নি। অভিযোগ হলে তদন্ত ক্রমে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo