মৌলভীবাজার পৌর শহরে কোথাও দীর্ঘস্থায়ী কোন জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। পৌরবাসীর দাবী এর একমাত্র কারণ পৌর শহরের কোদালি ছড়ার খনন ও পরিষ্কার ও পরিচন্ন রাখায় এ সুফল।
শহরের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল কোদালি ছড়া। অন্তত আড়াই কিলোমিটার এর এই ছড়া হয়ে পুরো শহরের পানি কাইঞ্জার হাওর হয়ে হাইল হাওরে পড়ে। দীর্ঘদিন খনন না হওয়ায় শতাব্দীর প্রাচীন এই ছড়া ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় প্রতিবছর বর্ষা এলেই শহরের অধিকাংশ এলাকা জলমগ্ন থাকতো। এমনকি ভারী বৃষ্টিপাত হলে শহরের বড় অংশে ভয়াবহ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হত।
পৌর শহরে বসবাসকারী আব্দুল মুহিত জানান পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান পৌরসভার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে পরিকল্পিত চিন্তাভাবনায় আমরা পৌরবাসী জলাবদ্ধতা থেকে রেহাই পাচ্ছি।
পৌর শহরে বসবাসকারী আরও কয়েকজন জানান, পৌর শহরের কয়েকটি ওয়ার্ডে আমাদের অবহেলার কারণে এখনও জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয় এর একমাত্র কারণ হচ্ছে আমাদের সচেতনতার অভাব অনেকেই আমরা ড্রেনের ভিতরে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখি। ওইসব কারণে পানি নিষ্কাশন হতে পারে না ড্রেনের পানির থেকে সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা।
লন্ডন প্রবাসী শফিক আহমদ বলেন আমি পৌর শহরের বাসিন্দা আমি কখনো চিন্তা করিনি মৌলভীবাজার পৌর শহরের ভিতরে এ কুদালি ছড়ায় নৌকা চলবে আমি গত কিছুদিন আগে এখানে নৌকা ওয়াকওয়ে দেখে আনন্দ লাগের।আমি আমার ব্যক্তিগত এবং প্রবাসীদের পক্ষ থেকে পৌর মেয়রকে অভিনন্দন ও সাধুবাদ জানাই।
এ ব্যাপারে মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র মোঃ ফজলুর রহমান বলেন, শহরে পানি নিষ্কাশনের একমাত্র খাল কোদালিছড়া খননের কাজ দ্রুত গতিতে শেষ হয়েছে। শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন ও নাগরিকদের সুবিধার্থে মৌলভীবাজার পৌরসভা ২৫ কোটি টাকার এই প্রকল্প গ্রহণ করেছে। আর অর্থায়ন করছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।
এদিকে কুদালিছড়ার বিভিন্ন অংশে কচুরিপানা এবং ময়লা আবর্জনার সৃষ্টি হলে তাৎক্ষণিক পৌরসভার কর্মীরা অপসারণ করে তাই পানি দ্রুত নিষ্কাশন হয়ে যায়।