কুষ্টিয়া -রাজবাড়ি আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডের গোলত্বরে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। বুধবার বেলা ৩ টার দিকে পৌর বাস টার্মিনাল থেকে ব্যানার, ফেস্টুন, প্লাকার্ড ও জাতীয় পতাকা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে সাধারন শিক্ষার্থীরা ।
বাসস্ট্যান্ড থেকে পরবর্তীতে বিক্ষোভ মিছিল হলবাজারে পৌঁছালে দুর্বৃত্তদের হামলায় দুইজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।আহতরা হলেন আফজাল ও মাহিন তানভীর।সদ্য কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করা পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পদক আসাদুজ্জামান আলী ও কামরুজ্জামান সোয়াদের নেতৃত্বে কর্মসূচিতে কুমারখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজ, কুমারখালী মহিলা কলেজ, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।
সেসময় প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীদের সমাগম ঘটে।এ সময় মিছিলে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দিতে থাকেন সাঈদ ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেবোনা। ‘আমার ভাই মরল কেন, প্রধানমন্ত্রী জবাব চাই’, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ভুয়া ভুয়া’,‘কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা কেন বিচার চাই বিচার চাই’,‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, এ কথা বলছে কে সরকার সরকার’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’,‘কোটা না মেধা মেধা মেধা, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’।
ঘটনাস্থলে কুমারখালী থানার ওসি আকিবুল ইসলামসহ ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন থাকা অবস্থায় কিছু সময়ের মধ্যে মহাসড়ক ত্যাগ করেন শিক্ষার্থীরা। এসময় মহাসড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। মহাসড়ক থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা কুমারখালী হলবাজারে মোড়ে পৌঁছালে ঢিলের আঘাতে কুমারখালী সরকারি ডিগ্রি কলেজের এইসএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আফজাল ও কুষ্টিয়া ইসলামিয়া কলেজের এই এসসি পরীক্ষার্থী মাহিন তানভীর আহত হন।
হামলাকারীদের খুঁজে পাওয়া না গেলে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের পুলিশ নিয়ন্ত্রণে আনেন। বিকেল ৫ টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন।ক্যাপশন : হামলায় আহত শিক্ষার্থী আফজাল। শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কুমারখালীতে বিক্ষোভ। কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড ও হলবাজার থেকে বেলা তোলা ছবি।