বগুড়ার আদমদীঘিতে নুর ইসলাম নামের এক কৃষকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই কৃষকের ছেলে আব্দুল আওয়াল দু‘জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে বুধবার রাতে সান্তাহার পৌর শহরের সাইলো সড়কের সজল চাল কল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
বগুড়ার আদমদীঘিতে নুর ইসলাম নামের এক কৃষকের গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে ওই কৃষকের ছেলে আব্দুল আওয়াল দু‘জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে বুধবার রাতে সান্তাহার পৌর শহরের সাইলো সড়কের সজল চাল কল এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, উপজেলার সান্তাহার ইউপির সান্দিড়া ও পৌরসভার কলসা মৌজার যৌথ একটি ফসলী মাঠে একটি স্কীমের আওতায় সেচ কার্যক্রম পরিচালনাকারী আহম্মেদ আলী প্রায় ৫০ বিঘা জমিতে পানি না দেওয়ায় অনাবাদী হয়ে এসব জমি পড়ে থাকে। সেখানে নতুন করে সেচ প্রকল্প স্থাপনের দাবী জানিয়ে তারা উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। তিনি সেচ দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদানও করেন। তারপর থেকে আহম্মাদ আলী তাদের (নূর ইসলামের) উপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। একপর্যায়ে বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় নুর ইসলাম একটি চাতাল মিল থেকে কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে সান্তাহার পৌর শহরের সাইলো সড়কের যুগিপুকুর এলাকায় সজল চালকলের উত্তর পাশের্^ পৌঁছলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে তার গায়ে পেট্রোল ঢেলে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তার মাথার চুল ও গায়ের পোশাক পুড়ে যায়। স্থানিয়রা তার চিৎকারে এগিয়ে এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। ওই কৃষকের ছেলে আব্দুল আওয়াল বাদী হয়ে আহম্মেদ আলী ও তার ছেলে জুয়েল হোসেন সহ অজ্ঞাত আরো ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।
অভিযুক্ত জুয়েল হোসেন বলেন, ‘কৃষকদের সাথে বিরোধ মিটিয়ে ইউএনও’র নির্দেশে তাদের জমিতে সেচ কার্যক্রম অব্যহত রাখা হয়েছে। আমাদের ফাঁসানোর জন্য নুর ইসলাম একটি মিথ্যা নাটক করেছেন মাত্র।’আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেশ কুমার চক্রবর্তী জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে দোষিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।