ঝিনাইদহের মহেশপুরের পোড়াপাড়া বাজারে সরকাররের পেরিফেরি ভুক্ত খাসজমি দখল করে ২০টি দোকানঘর ও নতুন করে প্রায় ১০ শতক জমির ওপর বহুতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। অথচ মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা বিষয়টি দেখেও না দেখার ভান করছেন।এলাকাবাসী জানিয়েছে, মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়নের পোড়াপাড়া বাজারের সোহরাব হোসেন বাজারের পেরিফেরি ভুক্ত সরকারি খাস জমিতে ২০টি দোকান ঘর নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছে। এ ছাড়া সম্প্রতি ওই বাজারের আরও আনুমানিক ১০ শতক জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। কিন্তু উপসহকারী ভূমি উন্নয়ন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামকে এলাকাবাসী ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন।পোড়াপাড়া বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সভাপতি রোজিন আলী জানান, জোকা কালহুদা গ্রামের আলাউদ্দিনের ছেলে সোহরাব হোসেনের মায়ের নামে ৩ শতক দাগি জমি আছে। সেই ৩ শতকের ওপর পানের দোকান ও তাদেও বাড়ি আছে। কিন্তু সেই ৩ শতকের নামে ২০টি দোকান ঘর বানানো হয়েছে ও বর্তমানে আরও ১০ কাঠার মতো জমি দখল নিয়ে ৫ তলা ভবনের কাজ শুরু করেছে।মান্দারবাড়ীয়া ইউনিয়ের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আমার জানা নেই। এটা তো বাজারের মধ্যে যদি কেউ গোপনে ঘিরে ঘর তৈরি করতে থাকে তাহলে বুঝবে কি করে।ঘর নির্মাণকারী সোহরাব হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার মায়ের নামে ৩ শতক জমি আছে। আমরা সেই জমিতে ঘর নির্মাণ করছি। ৩ শতক জমি তো এত না সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো উত্তর দেননি।ইউনিয়ন উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘর তৈরির ব্যাপারে আমার জানা নেই। পোড়াপাড়া বাজারে কত শতাংশ খাস জমি আছে সে ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ব্যাপারে আপনাকে কেন জানাব।মহেশপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মো. তারিকুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি বিষয়টি জানার জন্য নায়েব সাহেবকে এখনই পাঠাব। এবং খুব দ্রুত বাজারের খাস জমি উদ্ধারের জন্য মাপের কাজ শুরু করব। সে জন্য সার্ভিয়ারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।