জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চা বিক্রেতা হারুন মিয়ার উদ্যোগে শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার শতাধিক মানুষকে বই, পত্রিকা ও কলম উপহার দেয়া হয়েছে। তিনি হারুন টি হাউজ ও হারুন পাঠাগারের পরিচালক।
জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে ময়মনসিংহের গৌরীপুরের চা বিক্রেতা হারুন মিয়ার উদ্যোগে শিক্ষার্থী সহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার শতাধিক মানুষকে বই, পত্রিকা ও কলম উপহার দেয়া হয়েছে। তিনি হারুন টি হাউজ ও হারুন পাঠাগারের পরিচালক।
দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সোমবার বিকালে হারুন পাঠাগারের ব্যানারে পৌর শহরে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রায় হারুন টি হাউজের গ্রাহক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, গণমাধ্যমকর্মী সহ বিভিন্ন শ্রেণি- পেশার মানুষ অংশ গ্রহণ করে।শোভাযাত্রা শেষে শহরের আরশেদ আলী কমপ্লেক্স ভবনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বই ও পত্রিকা পড়া পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে স্কুলশিক্ষার্থী সহ শতাধিক মানুষকে বই, কলম ও পত্রিকা উপহার দেয়া হয়।
হারুন মিয়া বলেন, চা বিক্রির টাকায় আমি গত বছর দোকানেই ছোট্ট পরিসরে পাঠাগার গড়ি। মোবাইল আসক্তির কারণে অনেক তরুণ প্রজন্ম ও শিক্ষার্থীরা এখন বই ও পত্রিকা পড়া থেকে বিমুখ হয়ে যাচ্চে। তাদের মাঝে বই পড়া ও পত্রিকা পড়ার পাঠাভ্যাস গড়ে তুলতে আজকে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবসে শিক্ষার্থী সহ শতাধিক মানুষের প্রত্যেককে বই, কলম ও পত্রিকা উপহার দিয়েছি।
হারুন টি হাউজের পরিচালক মোঃ হারুন মিয়ার সভাপতিত্বে ও কবি পলাশ মাজহারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ভুটিয়ারকোনা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ গোলাম মোহাম্মদ, সতিষা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন, রুপালী ব্যাংক গৌরীপুর শাখার ম্যানেজার সুবল চন্দ্র ঘোষ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা, ইসলামাবাদ মাদরাসর উপাধ্যক্ষ এমদাদুল হক, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবু কাউছার চৌধুরী রন্টি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান কাউসার প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, হারুনের বাড়ি গৌরীপুর পৌর শহরের সতীষা মহল্লায়। অভাবের তাড়নায় স্কুল থেকে ঝড়ে পড়ে ২০১২ সালে পৌর শহরে চা দোকান খোলেন তিনি। ২০২৩ সালে চা বিক্রির টাকায় পাঠাগার গড়েন। দিনে চা বিক্রির পাশাপাশি রাতে পড়াশোনা করে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেছেন। তার স্বপ্ন পড়াশোনা শেষ করে আইনজীবী হওয়া।