চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাচা সহ বিভিন্ন সময়ে গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান দেয়ার দাবীতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির উদ্যেগে সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ানের সভাপতিত্বে ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক এনামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে জেলা বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় আবু সুফিয়ান বলেন, বিএনপিকে দমিয়ে রাখতে অবৈধ হাসিনা সরকার আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে গুম করেছে। আজও তাদের পরিবার সেসব গুম হওয়া নেতাকর্মীদের অপেক্ষায় আছে। ইতিমধ্যে হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর কথিত আয়না ঘর থেকে গুম হওয়া কয়েকজন ফিরে এসেছে। আমরা বাকিদেরও অবিলম্বে ফেরত চাই। দীর্ঘ পনের বছর ধরে অবৈধ ডামি আওয়ামীলীগ সরকার বিএনপি সহ হাজার হাজার বিরোধী নেতাকর্মীদেরকে হত্যা ও গুম করে গনতান্ত্রিক আন্দোলনকে স্তব্ধ করার অপপ্রয়াস চালিয়েছিল।
তাদের গুম, খুন, নির্যাতন, লুঠ, সীমাহীন দূর্নীতি, মিথ্যা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলা দেখিয়ে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদেরকে জেলে প্রেরণ করা সহ সকল অপকর্ম আজ বিশ্ব দরবারে নগ্নভাবে উন্মোচিত হয়ে গেছে। শেখ হাসিনা নিজের গদি টিকিয়ে রাখতে ছাত্র জনতার ন্যায্য দাবীর দিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন তার পোষ্য প্রশাসনকে ব্যবহার করে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে কোমলমতি শিশু, নারী, ছাত্র-ছাত্রী, তরুন ও সাধারণ জনগণকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যা করেছে। এরপরও জনতার আন্দোলনকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের দলের জনপ্রিয় নেতা বোয়ালখালী বিএনপির সাবেক জনপ্রিয় সভাপতি ও বোয়ালখালী উপজেলার করলডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বাচা'কে ২০১০ সালের ৮ই নভেম্বর গুম করা হয়েছিল। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন খোঁজ নেই। গুম হওয়া ব্যক্তিদের জন্য তাদের পরিবারের সদস্যরা অপেক্ষায় রয়েছে। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর কথিত আয়নাঘর থেকে গুম হওয়া কয়েকজন ফিরে এসেছে। আমরা বাকিদেরও ফেরত চাই এবং অবিলম্বে শেখ হাসিনা সহ তার দোসরদের গ্রেফতার করে মানবতা বিরোধী অপরাধ সহ সকল অপকর্মের বিচার দাবী দাবী করছি।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এম মন্জুর উদ্দীন চৌধুরী, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, এস এম মামুন মিয়া, আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান, খোরশেদ আলম, হাজী মোহাম্মদ রফিক, হাজী মোহাম্মদ ইসহাক, হামিদুল হক মান্নান, নুরুল কবির, মঈনুল আলম ছোটন, বিএনপি নেতা মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, রেজাউল করিম নেছার, মাষ্টার মোহাম্মদ লোকমান, মাহামুদুর রহমান মাদু, শহীদুল্লাহ চৌধুরী, কামাল উদ্দীন, রেজাউল করিম চৌধুরী রেজা, হাজী মোহাম্মদ ওসমান, আ,ক,ম মোজাম্মেল হক, বাবু খাঁন, নুরুন্নবী চৌধুরী, ডাঃ ফয়সাল, আবুল কালাম আবু, ইলিয়াস কাঞ্চন, জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, আবদুল মাবুদ, আরিফুর রহমান মারুফ, আপিল উদ্দীন, জহুর আলম শহীদ, আবদুল কাদের, এড, শামশুল আলম, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মহসিন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হাজী আবদুল মন্নান তালুকদার, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোজাম্মেল হক, জেলা ওলামা দলের সদস্য সচিব মৌলানা জাবের হোসাইন চৌধুরী, জেলা জাসাসের সদস্য আহ্বায়ক জসীম উদ্দীন চৌধুরী, সদস্য সচিব নাছির উদ্দীন, জেলা মহিলা দলের সভাপতি জান্নাতুল নাঈম চৌধুরী রিকু, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদিকা ফাতেমা আক্তার মুন্নি, সাংগঠনিক সম্পাদিকা শারাবান তাহুরা কলি, জেলা কৃষক দল নেতা মীর জাকের আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ ফিরোজ, যুগ্ম আহ্বায়ক আরেফিন রিয়াদ, আসাদুজ্জামান সাজ্জাদ, আব্দুস সবুর, এস.এম নয়ন, শাহাদাত হোসেন, ফরহাদুল ইসলাম, সদস্য যথাক্রমে জাহেদ হোসেন, শাহাদাত হোসেন জিকু, নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আরিফ, আবদুল্লাহ আল নোমান জিহাদ প্রমুখ।