চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড (রেজ্জাকপুর) আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় মিথ্যা মামলার হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সহযোগিতা চেয়েছেন।
চাটখিল উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড (রেজ্জাকপুর) আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আনোয়ার হোসেন কে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ন্যায় বিচার প্রত্যাশায় মিথ্যা মামলার হয়রানির প্রতিকার চেয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সহযোগিতা চেয়েছেন।
আনোয়ার হোসেন সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে চাটখিল প্রেস ক্লাবে এসে উপস্থিত সাংবাদিকদের জানান, তিনি একজন প্রবীণ আওয়ামীলীগ নেতা। রাজনৈতিক জীবনের ৪০ বছরে তার বিরুদ্ধে কেউ কোন অভিযোগ কখনো উত্থাপিত করিতে পারেনি। এবং তিনি হলফ করে বলেন, তার রাজনৈতিক বা ব্যক্তিগত জীবনে কখনো কারো উপর জুলুম নির্যাতন করিনি। কিংবা কারো সম্পদ আত্মসাৎ করিনি।
বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে কেন্দ্র করে সৃষ্ট রাজনৈতিক বিরোধের জের ধরে রেজ্জাকপুর গ্রামের তপাদার বাড়ির আবুল কাশেমের ছেলে ইব্রাহিম খলিল, স্থানীয় আ’লীগ নেতা ও ইউ.পি সদস্য ওমর ফারুক এবং স্থানীয় আবু তাহের সহ কয়েকজন দুষ্ট প্রকৃতির লোকের ইন্দনে ও পরামর্শে তার বিরুদ্ধে আট লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছি মর্মে মিথ্যা অভিযোগে নোয়াখালীর আদালতে মামলা দায়ের করেছে (মামলা নং- ৯২/২০২৩)।
সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে ৫ জনের নাম উল্লেখ করেছে। যেখানে ১ম সাক্ষী ও ৪র্থ সাক্ষী একই ব্যক্তি যিনি বাদীর বাবা। অপর ৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ২ নং ও ৩ নং সাক্ষী বাদীর চাচা এবং চাচি হন। ৫ নং সাক্ষী বাদীর আপন ভাগ্নে হয়। নিজেদের পরিবারের সদস্যদের সাক্ষী সাজিয়ে মামলা দায়ের করার কারণেই স্পষ্ট হয় এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট মামলা।
পরবর্তীতে ঐ মামলা পিবিআই কর্তৃক তদন্ত কালে আনোয়ার হোসেন কে পিবিআই’র নোয়াখালী কার্যালয়ে তলব করলে তিনি সেখানে স্ব-শরীরে হাজির হন। তদন্ত কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং প্রতিহিংসা মূলক।
আনোয়ার হোসেন কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, বাদীর কোন সাক্ষীকে তার সামনে উপস্থিত করা হয়নি এমনকি তার সামনে সাক্ষীদের বক্তব্য নেওয়া হয়নি। পরবর্তীতে তিনি জানতে পারেন তদন্ত কর্মকর্তাকে টাকা-পয়সা দিয়ে তার বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এই মিথ্যা মামলায় তিনি ৩ দিন কারাগারে হাজত ভোগ করতে হয়। পরবর্তীতে তিনি আদালত থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেন। তিনি এই মিথ্যা মামলা থেকে প্রতিকার পেতে ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।