ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, আমি যদি নৌকা পাই, সারা দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে এই ফরিদপুর ২ আসনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দিবো।
ফরিদপুর ৪ আসনের সংসদ সদস্য ও আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন বলেছেন, আমি যদি নৌকা পাই, সারা দেশের ৩০০ আসনের মধ্যে এই ফরিদপুর ২ আসনে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আসনটি উপহার দিবো। গত ২ বছর আমি নৌকা চাই নাই, এবার নৌকা চাবো, আপনাদের এই ভালবাসা যদি থাকে তাহলে বিশ্বাস করি নেত্রী আমাকেই নৌকা দিবে।
নিক্সন চৌধুরী ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার চরচান্দ্রা খেয়াঘাট-নয়াকান্দা(অর্জুনপট্টি) আড়িয়ালা খাঁ শাখা নদীর উপর ব্রিজ নির্মানের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। নিক্সন চৌধুরী এসময় আরো বলেন, এই গ্রামের এই রাস্তা কাঁচা ছিল, আমি এসে ইটের রাস্তা করেছি, আরো খুশির খবর হলো আপনাদের এই রাস্তা পাকা হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে টেন্ডার হয়ে গেছে। এর পরে এই ব্রিজের কাজ শেষ হলে আপনাদের আর কেউ চরের মানুষ বলতে পারবে না। মাত্র ২ মিনিটেই আপনারা মূল সড়কে চলে আসতে পারবেন।
তিনি বলেন, আপনারা এই রাস্তা চাওয়ার পরে কাজী জাফরউল্ল্যাহ বলেছিল এই রাস্তা দিয়ে মানুষ চলে না, গরু ছাগল চলে, গরু-ছাগলের জন্য রাস্তা করা লাগবে নাকি। সেই কাজী সাহেব এখন আবার এসে আপনাদের কাছে ভোট চায়, সুযোগ চায় কোন মুখে। কাজী জাফরউল্ল্যাহকে উদ্যেশ্য করে আরো বলেন, চাচা সাড়ে ৪ বছর এলাকায় আসেন নাই। এবার আইসা বক্তব্যে খালি কয় খেলা হবে, খেলা হবে। ১০ তারিখে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার পর থেকে আর খেলা হবে কয় না। কারন ওই দিন তিনি বুঝে গেছে জনগন কি চায়। ওই জনসভার পুরো মাঠে ছিল নিক্সন কর্মীরা। বাকী ৬ উপজেলা থেকে যে লোক আসছে নিক্সন কর্মীরাই ছিল তার থেকে কয়েকগুন বেশী। এইটা তো প্রধানমন্ত্রী দেখে গেছে। এই জন্য চাচায় আর এখন খেলা হবে কয় না।
এ সময় উপস্থিত নারীদের উদ্যেশ্য করে বলেন, কোন ডাকাতকে ভয় পাবেন না। ব্রিজ হয়ে গেলে আমার বাড়ি যেতে আপনাদের সময় লাগবে ২ মিনিট। আপনাদের সকল নিরাপত্তার দায়িত্ব আমার। এই এলাকায় মসজিদ আছে, মন্দির আছে। এই সবের দায়িত্বও আমার। এইটা আমার এলাকা। এখানে কোন ডাকাত, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসীর স্থান হবে না।
নিক্সন চৌধুরী শুক্রবার সন্ধ্যায় চান্দ্রা ইউনিয়নের নয়াকান্দা (অর্জুনপট্টি) গ্রামে আড়িয়াল খা শাখা নদীর উপর ৬১ কোটি ৪৯ লক্ষ ২৭ হাজার, ৪৪৭ টাকা প্রাক্কলিত ব্যয়ে নির্মিতব্য ৩১৫ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরে সেখানেই স্থানীয় আওয়ামীলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন।
আলোচনা সভায় চান্দ্রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা হাজী আব্দুল খালেক এর সভাপতিত্বে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহাদাৎ হোসেন, ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিবসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়েনের চেয়ারম্যান, জেলা ও উপজেলা যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।