চাটখিল পৌর বাজারে চুরি-ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদকের উৎপাত অব্যাহত ভাবে বেড়েই চলছে। শুক্রবার রাতে পৌর বাজারের টপ লেডিস, পূর্বালী স্টোর, রানী কসমেটিক সহ ৪টি দোকান চুরি করে ৩ লক্ষাধিক টাকার মালামাল ও নগদ টাকা নিয়ে গেছে বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেন।
এর দুদিন আগে পৌর বাজারের নিউমার্কেটের ১০টি দোকানের মালামাল একরাতে চুরি হয়। এতে ১০/১৫ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ টাকা চুরি করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ চোর চক্র।
দুই মাসের মাথায় অন্তত্য ১০/১৫টি চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এক মার্কেটের ১০টি দোকান একরাতে চুরি করতে দুই-আড়াই ঘন্টা সময়ের প্রয়োজন এই দীর্ঘ সময়ধরে বাজারের নৈশ প্রহরীরা কার নির্দেশে অনুপস্থিত থেকে চোরদের কে চুরি করার সুযোগ করে দিয়েছে। এসব চুরির ঘটনায় পৌর কর্তৃপক্ষের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ।
চাটখিল পৌর বাজারের টপ লেডিস স্টোরের মালিক ইব্রাহিম খলিল পরাণ তার প্রতিষ্ঠানে ২ মাসের মাথায় ২বার চুরির ঘটনায় ফেসবুক লাইভে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় তিনি চাটখিল বাজারে সৌর বিদ্যুতের লাইট স্থাপনের দাবি জানান। ইব্রাহিম খলিল পরাণের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, চুরির ঘটনা পৌর মেয়র মো. নিজাম উদ্দিন কে জানালে মেয়র ঢাকায় আছেন জানিয়ে বলেন, তিনি এলাকায় আসলে এবিষয়ে কথা বলবেন। পরে থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ব্যবসায়ীদের থানায় গিয়ে কথা বলতে বলেছেন।
চাটখিল থানার ওসি মুহাম্মদ ইমদাদুল হক শনিবার (২২ জুন) দুপুরে চুরির কথা স্বীকার করে বলেন, পৌর কর্তৃপক্ষ নৈশ প্রহরীদের যথাযথভাবে মনিটরিং করতে পারলে চুরির ঘটনা কমে আসবে। পাশাপাশি বাজারে বিদ্যুৎ না থাকলে বাজার অন্ধকার হয়ে যায়। এতে চোরেরা চুরি করার সুযোগ পায়। তাই পৌর কর্তৃপক্ষ বাজারে সৌর বিদ্যুৎ লাইট স্থাপন করলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরাল হবে। তিনি প্রয়োজন সাপেক্ষে টহল পুলিশের সদস্য সংখ্যা বাড়ানোর আশ্বাস দেন।