বিএনপির সক্রিয় নেতাদের বিচার বিভাগের মাধ্যমে বেছে বেছে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক। শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতি রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এরশাদ উল্লাহ বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন আরেকটি জালিয়াতির নির্বাচন করতে যাচ্ছে। অটোপাস এবং রাতের ডাকাতির পর এবার আরেকটি আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হচ্ছে। নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশের পরিবর্তে সারাদেশে ভীতিকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
বিএনপির সক্রিয় নেতাদের বিচার বিভাগের মাধ্যমে বেছে বেছে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামী লীগের লোকজন ছাড়া মানুষ এখন গ্রেপ্তারের ভয়ে পলাতক। শেখ হাসিনার নির্দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতি রাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়িতে অভিযান চালাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রীর অফিস থেকে দেওয়া তালিকানুযায়ী বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করবে। এভাবে মাফিয়া সরকার নির্বাচন করতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনের নামে এই খেলা কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বানচাল করা হবে।
তিনি মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে মোহরা কাজীর হাট ও কামাল বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে এসব কথা বলেন।
তিনি ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেন এবং আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চান্দগাঁও ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ইলিয়াছ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল কবির রানা, নগর বিএনপি জাফর আহমদ, নগর যুবদলের সহ সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আবু ছিদ্দিক আবু, নগর ছাত্রদল নেতা তারেক রহমান, চান্দগাঁও থানা যুবদলে যুগ্ম আহবায়ক খোরশেদ আলম রুবেল, থানা যুবদলের নেতা মো. শাহাজান, ফজল কবির, মো. রাশেদ, মো. টিপু, মো. জাবেদ, থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আনোয়ার হোসেন বাপ্পি, মো. জিদান, মো. সেলিম, ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. তৈয়ব, জয়নাল আবেদীন, শ্রমিক নেতা মো. রুবেল, মো. টিপু, মো. মানিক প্রমূখ।