মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণের মধ্য দিয়ে শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে। ২ মার্চ শনিবার সকালে পৌরশহরের সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের আয়োজনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই দিবস পালন করা হয়৷ সকালে সেঁজুতি অঙ্গনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের প্রধান শিক্ষক মুনীরুজ্জামান।
পরে জাতীয় পতাকাসহ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে আলোচনা সভায় প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে বক্তব্য উপস্থাপন করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী, শিক্ষক শান্তি সাহা, সাংবাদিক শাহাদত তালুকদার,শিক্ষক অমিত চক্রবর্তী প্রমুখ। এসময় বিদ্যালয়ের শিক্ষক,শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সাধারন জনতা উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, ‘১৯৭১ সালে তৎকালীন ইকবাল হলের (শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) শিক্ষার্থীরা লাল সবুজের পতাকা বানিয়েছিল। এটিই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেটি আমাদের অনুপ্রেরণা ও শক্তিতে পরিণত হয়। প্রকৃতপক্ষে সেদিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালি ছাত্র-জনতা স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্নিমন্ত্রে উজ্জীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে। পতাকা উত্তোলনই মাধ্যমে জানান দেয় স্বাধীন বাংলাদেশের। দীর্ঘ ৯ মাসের বহু ত্যাগ, রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস এই পতাকাই বিবেচিত হয় আমাদের জাতীয় পতাকা হিসেবে।