চৌগাছা মডেল হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার হাসপাতালের চিকিৎসক-সেবিকাসহ কর্মরতরা হাসপাতালের প্রধান ফটকের দরজার সামনে এ বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ চলাকালীন সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিলো। পরে যশোরের সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ তুলে নেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে মারধরের শিকার মেডিকেল অফিসার ডা. বিএম শামসুজ্জামান সোহাগ রোগীর পিতা ইখতিয়ারকে আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। ইখতিয়ার চৌগাছা পৌরসভার বিশ্বাসপাড়ার আবু তালেবের ছেলে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে ফের আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়েছে।
চৌগাছা মডেল হাসপাতালে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীকে মারধরের প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে। মঙ্গলবার হাসপাতালের চিকিৎসক-সেবিকাসহ কর্মরতরা হাসপাতালের প্রধান ফটকের দরজার সামনে এ বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভ চলাকালীন সকল ধরনের চিকিৎসাসেবা বন্ধ ছিলো। পরে যশোরের সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ তুলে নেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এর আগে মঙ্গলবার রাতে মারধরের শিকার মেডিকেল অফিসার ডা. বিএম শামসুজ্জামান সোহাগ রোগীর পিতা ইখতিয়ারকে আসামি করে চৌগাছা থানায় মামলা করেন। পুলিশ তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। ইখতিয়ার চৌগাছা পৌরসভার বিশ্বাসপাড়ার আবু তালেবের ছেলে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে ফের আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৯ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে শিশু পুত্রকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন ইখতিয়ার। চিকিৎসা প্রদানে অবহেলার অভিযোগ তুলে তিনি প্রথমে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আশরাফুন্নাহারকে চপেটাঘাত করেন। তাকে রক্ষা করতে এসে মারধরের শিকার হন মেডিকেল অফিসার ডা. বিএম শামসুজ্জামান সোহাগ ও স্বাস্থ্য কর্মী ফাহিম হোসেন। ঘটনাটি জানাজানির পর চিকিৎসক- সেবিকা ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ হন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তারা সকাল ৯ টা থেকে চিকিৎসাসেবা বন্ধ রেখে বিক্ষোভ শুরু করেন। এসময় হামলাকারী ইখতিয়ারকে সর্বোচ্চ শাস্তি ও নিরাপদ কর্মস্থলের দাবি করা হয়। বিক্ষোভ ও মানববন্ধনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি, ডা. সুরাইয়া পারভিন, ডা. আকিব হোসেন, ডা. ইয়াসির আরাফাতসহ হাসপাতালের চিকিৎসক-সেবিকা কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অংশ নেন। এদিকে, খবর শুনে বেলা সাড়ে ১১টায় যশোরের সিভিল সার্জন বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুস সাদিক রাসেল সেখানে যান। তারা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলে দুপুর ১২ টার দিকে বিক্ষোভ তুলে নেয়া হয়। পরে চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন স্বাস্থ্যকর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
এই বিষয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাখি জানান, সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপে বিক্ষোভ তুলে নেয়া হয়। তিনিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন। হামলাকারী ইখতিয়ারের কঠিন শাস্তি না হলে ফের কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে বিষয়টি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী অবহিত হয়েছেন। তারা মুঠোফোনে কথাও বলেছেন।
যশোরের সিভিল সার্জন ডা. বিপ্লব কান্তি বিশ্বাস জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে মারধরের ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। অভিযুক্তের বিরুদ্ধ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। হামলার প্রতিবাদে চৌগাছা হাসপাতালে কর্মরতরা আন্দোলন ও বিক্ষোভ করছিলো । মারধরের ঘটনায় সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেয়ার পর তারা দায়িত্বে ফিরে যান।
চৌগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী জানান, মামলা হওয়ার পর ঘটনার সাথে জড়িত ইখতিয়ারকে আটক করা হয়েছে।