ঝিনাইদহের আব্দুর রশিদ দুই বিঘা জমিতে তরমুজ চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন দেড় লাখ টাকা, পাশাপাশি শুরু করেছেন ইউরোপীয় জাতের আঙ্গুর চাষ।
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার যুগিহুদা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ পেশায় একজন আপাদমস্তক কৃষক হলেও শখের জায়গায় তিনি ব্যতিক্রম। শখ তার—দেশের যেকোনো প্রান্তে নতুন কোনো চাষাবাদের খবর পেলে সেখানে ঘুরে দেখা এবং শেখা। সেই শখই আজ তাকে এনে দিয়েছে কৃষি সফলতা ও অর্থনৈতিক স্বাচ্ছন্দ্য।
বর্তমানে তিনি দুই বিঘা জমিতে চাষ করছেন গোল্ডেন কালারের নতুন জাতের ‘তৃপ্তি’ তরমুজ। রমজানের শুরু থেকে তিনি এর বিক্রি শুরু করেছেন। তার হিসেব অনুযায়ী, চাষে খরচ হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা এবং আশা করছেন দেড় লাখ টাকার মতো নিট লাভ হবে।
তরমুজের পাশাপাশি আব্দুর রশিদের রয়েছে পাঁচ বিঘা জমিতে মাল্টা, কমলা লেবু এবং আঙ্গুরের বাগান। এবারই প্রথম তিনি শুরু করেছেন আঙ্গুর চাষ। ১০ কাঠা জমিতে ছমছম ও সুপার সনিকা জাতের ৭৫টি আঙ্গুর গাছ রোপণ করেছেন, যেগুলোর চারা এসেছে ভারত ও ইটালি থেকে। তার আশা, যদি ফলন আশানুরূপ হয়, তাহলে আগামী ৪০-৫০ বছর পর্যন্ত এসব গাছ থেকে ফল পাওয়া যাবে।
যেখানে দেশের চাষিদের অনেকেই আঙ্গুর চাষে হতাশ, সেখানে আব্দুর রশিদ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলছেন, "আমার চাষ করা আঙ্গুর হবে সুস্বাদু ও মানসম্পন্ন।" তার এই প্রচেষ্টা দেখে আশেপাশের অনেক কৃষকও অনুপ্রাণিত হচ্ছেন।
শুধু কৃষিই নয়, কৃষিতে নতুনত্ব খোঁজাই যেন আব্দুর রশিদের আসল পরিচয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে নতুন কিছু শেখার এই মানসিকতা অন্য কৃষকদের জন্য হতে পারে এক অসাধারণ প্রেরণা।