রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর যন্ত্রকৌশল বিভাগ থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে আদমদীঘি আই,পি,জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে জিপিএ-৪.৮৮ পেয়ে এবং ২০১১ সালে সান্তাহার সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ- ৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হোন
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা থেকে প্রশাসন ক্যাডারে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবেল শেখ সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন।
গত ২৬শে ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) বিকেলে ৪৩তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্তদের ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। এতে ক্যাডার ও নন-ক্যাডার মিলিয়ে মোট দুই হাজার আটশত পাঁচজনকে (২৮০৫) নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। সুপারিশপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৭৬তম স্থান অধিকার করেছেন আদমদীঘির রুবেল শেখ। রুবেল শেখ বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নশরতপুর ইউনিয়নের সাঁকোয়া গ্রামের আনছার আলী শেখের ছেলে।
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) এর যন্ত্রকৌশল বিভাগ থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক সম্পন্ন করেন। তিনি রুয়েটের যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১১-১২ সেশনের শিক্ষার্থী। এর আগে তিনি ২০০৯ সালে আদমদীঘি আই,পি,জে পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিকে জিপিএ-৪.৮৮ পেয়ে এবং ২০১১ সালে সান্তাহার সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ-৫.০০ পেয়ে উত্তীর্ণ হোন।
এর আগে তিনি ৪১তম বিসিএসে টেকনিক্যাল (নন-ক্যাডার) ইনস্ট্রাক্টর হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হোন। ৪৩তম বিসিএস ছিল রুবেল শেখ এর ৪র্থ বিসিএস। প্রথম দুটি বিসিএস পরীক্ষায় ব্যর্থতার পর থেমে না গিয়ে নতুন উদ্যোমে শুরু করেন পড়াশুনা। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে স্নাতক সমাপ্ত হবার পর দুই মাস একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করেন তিনি। চাকুরিরত অবস্থায় অনুভব করেন দেশের জন্য ও দেশের মানুষের জন্য সরাসরি কাজ করার সুযোগ রয়েছে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডার থেকে। এর পরই তিনি চাকুরি থেকে ইস্তফা দিয়ে শুরু করেন বিসিএসের জন্য প্রস্তুতি। দীর্ঘ ৭ বছর দিন-রাত অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলস্বরূপ তিনি এই সফলতার দেখা পেয়েছেন। ৪৩তম বিসিএসে সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
রুবেল শেখের অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ৭ বছরের প্রচেষ্টায় ৪৩তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সহকারী কমিশনার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছি। আমার সফলতার মূলে জান্নাত সমত‚ল্য মাতা-পিতার অবদান সর্বোচ্চ অনুপ্রেরণামূলক। এহেন সাফল্য অর্জনে উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা প্রদানে সকলের প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। আমি সততা, দক্ষতা ও নিষ্ঠার সহিত প্রজাতন্ত্রের সেবা করতে সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।