ধৃত আসামী ভিকটিমের দূর সম্পর্কের আত্মীয়। সেই সুবাদে আসামী ভিকটিমের বাসায় প্রায়ই যাওয়া আসা করত এবং ভিকটিমকে পূর্ব হতেই বিভিন্ন কুপ্রস্তাবসহ বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আসছিলো। ভিকটিম ঝিনাইদহের আরাপপুর এলাকায় একটি টিনসেড বাসা ভাড়া নিয়ে থাকে। ঝিনাইদহ সদরের বিভিন্ন বাসা বাড়িতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ০৮ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে ভিকটিম কাজকর্ম শেষ করে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়লে রাত আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার দিকে ভিকটিম বাথরুমের জন্য নিজ ঘর হতে বাহিরে গেলে সেই সুযোগে আসামী পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের টিনের ঘরে গোপনে প্রবেশ করে।
ভিকটিম রুমের ভিতরে এসে দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরলে ধৃত আসামী রাজিব আকস্মিকভাবে ভিকটিমের মুখ চেপে ধরে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে এবং ভিকটিমকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও খুন করার হুমকি দেখিয়ে পালিয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে ঝিনাইদহের সদর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার আসামী ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকে। বিষয়টি জানতে পেরে র্যাব-৬ এর আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ধর্ষনকারীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অভিযান অব্যাহত রাখে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল র্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত ধর্ষণ মামলার প্রধান পলাতক আসামী ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় আত্মগোপনে আছে
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্দেশ্যে আভিযানের সময় ঝিনাইদহ জেলার সদর থানাধীন কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত ধর্ষন মামলার প্রধান পলাতক আসামী- মোঃ রাজিব(২৮), পিতাঃ আমজাদ, সাং- কবিরপুর, থানা-শৈলকুপা, জেলা-ঝিনাইদহকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ঘটনার সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার সদর থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে।