বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লগু চাপের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৩ নাম্বার সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলার পরেও এবং সামুদ্রিক মৎস্য প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মৎসা আহরণে বন্ধে ৬৫ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও চরম দারিদ্রতা ও ক্ষুধার কাছে হার মেনে গতকাল সকাল ১১ টার সময় কুতুবদিয়া উপজেলার পশ্চিম আলী আকবর ডেইল কাজীপাড়া সামুদ্রিক মৎস্য আহরণ পয়েন্টে মানে স্থানীয় জেলেদের ভাষায় সমুদ্রের আট বিঘত এরিয়ায় স্থানীয় টেম্পু ফিসিং বোট নিয়ে মাছ আহরণ করতে গিয়ে এক জেলে বোট উল্টে নিখোঁজ হয়েছে।
দুর্ঘটনায় কবলিত বোটের মাঝি জনাব কলিম উল্লাহ বলেন,, সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা ধমকা হাওয়া থাকা সত্ত্বেও আমরা ৪/৫ জন মাঝি মোল্লা মিলে আমাদের টেম্পু নিয়ে কাজিরপাড়া সমুদ্রের মনে আট বিঘত এরিয়ায় সামুদ্রিক মৎস্য শিকার পয়েন্টে মাছ শিকার করতে যাই । আমার নির্দেশের সমুদ্রে জাল পাতার প্রায় দুই তিন ঘণ্টা পরে আমার সহকারি মোঃ শাহজাহান ( অত্র ইউনিয়নের ঘাটকুলপাড়া নিবাসী) কে খালি তেলের ড্রাম নিয়ে সমুদ্রে নেমে জাল থেকে মাছ তুলে আনার পরামর্শ দিই।
যা আমাদের প্রত্যাহিক কাজের রুটিন । কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত শাহজাহান বোট থেকে সমুদ্রে নামার সময় আমাদের বোটটি উল্টে যায় এবং তেলের খালি ড্রামটি পাওয়া গেলেও শাজাহানক নিখোঁজ হয়ে যায় । ধারণা করা হচ্ছে,, বৌরি আবহাওয়া ও সামুদ্রিক স্রোতের কারণে নিখোঁজ হওয়া শাহজাহান সমুদ্রে তলিয়ে গেছে। ব্যাপারে শাহজাহানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে ,, পারিবারিক সূত্র জানায় , , পরিবারের সবাই সমুদ্রের সৈকতে নিখোঁজ শাহজাহানের সন্ধানে ওখানেই অবস্থাান করছেন।
তথাপি তাদের পরিবারের শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয় ডুবুরিদের সাথে সাথে কুতুবদিয়া ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ও উদ্ধার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অবশেষে গতকাল বিকেলে উত্তর ধুরুং ঘাটের পশ্চিম পাশে নিখোঁজ জেলে শাহজাহানের লাশ ভেসে উঠে এবং স্থানীয় জনগণ কুতুবদিয়া থানায় খবর দিলে , পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসে এবং পরবর্তীতে আলি আকবর ডেইল ইউনিয়নের জনাব জাহাঙ্গীর সিকদারের উপস্থিতিতে এবং কুতুবদিয়া থানার ওসি জনাব গোলাম কবিরের নির্দেশে শাহজাহানের মা-বাবার কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। আজ সকাল ১০ ঘটিকার সময় নিহতের নামাজে জানাজা সম্পূর্ণ হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।