শেরপুর নকলা উপজেলার ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ শামীম (৪২) প্রথমে কু প্রস্তাব করে তারপর মেয়ের পরিবারের সাথে কিছুটা সম্পর্ক গড়ে তুলেন ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি । তারপর স্ত্রীকে রেখে জোর পূর্বক ভাবে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে উদাও।
শেরপুর নকলা উপজেলার ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা শেখ শামীম (৪২) প্রথমে কু প্রস্তাব করে তারপর মেয়ের পরিবারের সাথে কিছুটা সম্পর্ক গড়ে তুলেন ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি । তারপর স্ত্রীকে রেখে জোর পূর্বক ভাবে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে উদাও।
জানা যায়, গত ১৭মার্চ (রবিবার) সন্ধ্যার পর কুপ্রস্তাব প্রেমের সম্পর্কের জের ধরে নকলা উপজেলার পাঠাকাটা গ্রামের রেজাউল করিমের মেয়ে পাঠাকাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী (১৪) লিজাকে জোর করে নিয়ে উধাও হয় ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়নের বীরমুক্তিযোদ্ধা হাইতুল্লাহর পুত্র ২ সন্তানের জনক শেখ শামীম (৪২)।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শামীম পাঠাকাটা ইউনিয়নের মাঝিপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি । তিনি পেশায় এক ব্যবসায়ী এবং সুদ লেনদেন ধারী ও নেশাগ্রস্ত মানুষ ।জোরপূর্বক পালিয়ে নিয়ে যাওয়া ওই স্কুল ছাত্রী লিজা (১৪) পাঠাকাটা ইউনিয়নের বাসিন্দা। তার বাবা পেশায় একজন ভ্যান চালক ও ইলেকট্রনিক মিস্ত্রি এবং মা রাস্তার মাটি কাটার কাজ করে সংসার চালাই ৬ সদস্য পরিবারের।
এ ঘটনায় ওয়ার্ড যুবলীগ শামীমের বিরুদ্ধে নকলা থানায় অভিযোগ করেন ছাত্রীর বাবা রেজাউল করিম । এদিকে যুবলীগ নেতা শামীমের পরিবারের স্ত্রী সন্তান গণ এই ঘটনাই খুবই মর্মাহত এবং লজ্জিত।
এদিকে ছাত্রীর পিতা মাতা নিম্ন পরিবারের হওয়াই
এবং ওই যুবলীগ নেতার ভয়ে সঠিক বিচার পাবে না বলে তারাও মেয়ে পাবার আশা ছেড়ে দিছে।তবে ছাত্রীর বাবা মা প্রশাসনের কাছে এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে সঠিক বিচার কামনা করে।
স্থানীয় সূত্রে ও আমরা গিয়ে জানতে পারি, তিনি পাঠাকাটা ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি শামীম, বয়স : আনুমানিক ৪২ বছর এবং বর্তমানে তার ঘরে স্ত্রী এবং ২৩ বছর বয়সী ছেলে এবং একটি কন্যা সন্তান রয়েছে ।
ওই স্কুল ছাত্রীর মার অভিযোগ, আমার মেয়েকে শামীম জোর পূর্বক ভাবে বাড়ি থেকে উঠিয়ে নিছে এবং আজ প্রায় ১১ দিন ধরে আমার মেয়েকে আশেপাশে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে আর খুঁজে পায়নি।
এ বিষয়ে ৬নং পাঠাকাটা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন এলাকার মানুষের কাছে শুনেছি স্কুল ছাত্রীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে শামীম।তবে এই কাজটি খুবই ঘৃণীত। যেহেতু নাবালিকা মেয়ে তাই আমিও এর উপযুক্ত সঠিক বিচার চাই
কৈইয়াকরি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম চুন্নু বলেন আমি সব সময় বাল্যবিবাহের বিপক্ষে এবং এর জন্য আমরা গ্রাম্য শালিসের মাধ্যমে সমাধান করতে চেয়ে ছিলাম তবে তারা সেখানে উপস্তিত হয় নি।আর শামীম যে খারাপ কাজ করছে তার উপযুক্ত সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হোক
নকলা থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মো. কাদের মিয়া বলেন, আমরা ওই ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি তবে লিখিত অভিযোগ বা পরিবার থেকে কোন মামলা হয়নি।যদি ছাত্রীর পরিবার লিখিত অভিযোগ এবং মামলা করে তাহলে আমরা সঠিক ব্যবস্থা নিব।