হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৪ দিন পর মৎস্য ফিশারী থেকে সারজিদ মিয়া নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহত শিশু সারজিদ বাড়ির পাশে একটি ফিসারি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলায় নিখোঁজের ৪ দিন পর মৎস্য ফিশারী থেকে সারজিদ মিয়া নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিহত শিশু সারজিদ বাড়ির পাশে একটি ফিসারি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
শিশু সারজিদ মিয়া উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামের আল-আমিনের পুত্র।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) শিশুটি তার খেলার সাথীদের সঙ্গে বাড়ির পাশে আলীগঞ্জ সেতুতে খেলাধুলা করতে যায়। এ সময় কয়েক জন ব্যক্তি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক (মিশুক) যোগে নৌকা বাইচ দেখানো কথা বলে চার শিশুকে নিয়ে যায়। পরে নৌকা বাইচ দেখা শেষে জনি ও সোহাগ নামে দুজন একই স্থানে তিন শিশুকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেন।
তবে অপহৃত শিশু সারজিদ ও অভিযুক্ত ছালিম উদ্দিন আর ফিরে আসেনি। অনেক খোজাখুজির পর শিশু সারজিদকে না পেয়ে জগন্নাথপুর থানায় একটি অপহরণের মামলা দায়ের করেন তার পিতা আল-আমিন। পরে ৯ অক্টোবর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হল- পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের মৃত কছর মিয়ার ছেলে ছালিম উদ্দিন (৪৫), একই গ্রামের মৃত আব্দুর শহিদের ছেলে জনি (২৫) ও বাগময়না গ্রামের মৃত আব্দুল নওয়াফের ছেলে সোহাগ মিয়া (২৫)। পরে বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর আদালতে প্রেরণ করা হয়। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় নবীগঞ্জ উপজেলার উমরপুর গ্রামের একটি মৎস্য ফিশারীতে শিশু সারজিদের মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নোমান হোসেন বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শিশু সারজিদ নিখোঁজ ছিল। তার সহপাঠিরা জানিয়েছে গ্রেফতারকৃতরা তাদেরকে মিশুকযোগে নিয়ে গিয়েছিল।
এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোখলেছুর রহমান আকন্দ লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল। এ বিষয়ে মামলা দায়ের করা হলে ৩ জন আসামীকে গ্রেফতারের পর আসামিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছিল।