বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেনকে গ্রেফতার ও দল থেকে তাকে বহিষ্কারের দাবিতে পটুয়াখালীতে রোববার রাতে বিক্ষোভ-সমাবেশ হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সাধারণ মানুষ এতে অংশ নেয়। বিক্ষোভ শেষে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে এবং পটুয়াখালী প্রেসক্লাব চত্বরে সমাবেশে বিক্ষোভতারীরা বক্তব্য রাখেন।
ভোটের দিন (৭ জানুয়ারি) বিকালে পটুয়াখালী-১ আসনে জোটের প্রার্থী এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে আফজাল হোসেনের বাড়ি সংলগ্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে আফজালের ভাইদের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়। এ হামলার প্রতিবাদে আফজালকে বহিস্কারের দাবী জানান আ’লীগের নেতাকর্মীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিঠির মাধ্যমে নৌকা উঠিয়ে লাঙ্গল দিয়েছেন। ১৮ ডিসেম্বর ফোনকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের মহাসচিব লাঙ্গলের প্রার্থীকে সহযোগিতা করতে বলেন। পরে আমি জরুরি সভা ডেকে এ নির্দেশনা দলের সবাইকে অবগত করে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ শুরু করি। অথচ আফজাল হোসেনের নেতৃতে যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শহিদুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের একটি অংশ কংগ্রেস পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন এবং আফজালের বাসায় আশ্রয় দিয়ে তার নির্বাচন পরিচালনা করছেন। যে কারণে এমন পরি¯ি’তি দেখা দিয়েছে।
সাবেক পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জোটের সিদ্ধান্তে জাপার কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদারকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। জেলা আওয়ামীলীগসহ আমরা নেত্রীর সিদ্ধান্তে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করলেও অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন ও তার লোকজন কংগ্রেস পার্টির প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছেন। শেষ পর্যন্ত রুহুল আমিন হাওলাদারের ওপর হামলা করেছেন তারা। এ ছাড়া তিনি বিগত নির্বাচনগুলোতে দলীয় প্রার্থীদের পরাজিত করতে বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে ক্রমাগত দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে তিনি বিভাজন সৃষ্টি করছেন।