পটুয়াখালীতে প্রতি বছর ২২ লক্ষ টাকা ইজারা নিলেও কোন কাজ হচ্ছে না বাস টার্মিনালটিতে

আসাদুল্লাহ হাসান মুসা প্রকাশিত: ১৫ জুলাই , ২০২৪ ১২:৫২ আপডেট: ১৫ জুলাই , ২০২৪ ১২:৫২ পিএম
পটুয়াখালীতে প্রতি বছর ২২ লক্ষ টাকা ইজারা নিলেও কোন কাজ হচ্ছে না বাস টার্মিনালটিতে
প্রতিদিন পটুয়াখালী থেকে ঢাকা ও অভ্যন্তরীন রুটে প্রায় ৫শ থেকে ৬শ বাসে প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে । তবে যাত্রীদের জন্য নেই কোন বসার স্থান, নেই কোন পয়ংনিষ্কাশন এর ব্যবস্থা। নদী-নালায় পরিনত হয়েছে এই পৌর বাস টার্মিনালটি এমনটাই বলছিলেন পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মৃধা।

পটুয়াখালী পৌর বাস টার্মিনাল থেকে প্রতিবছর ২২ লক্ষ টাকা ইজারা নেয় পটুয়াখালী পৌরসভা। তবে এই ২২ লক্ষ টাকা ইজারা নিলেও কোন কাজ হয় না পৌর বাস টার্মিনালটিতে । নেতারা নির্বাচনের আগে অনেক আশ্বাস দিলেও নির্বাচন শেষ হলে তা ভুলে যায়।

প্রতিদিন পটুয়াখালী থেকে ঢাকা ও অভ্যন্তরীন রুটে প্রায় ৫শ থেকে ৬শ বাসে প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে । তবে যাত্রীদের জন্য নেই কোন বসার স্থান, নেই কোন পয়ংনিষ্কাশন এর ব্যবস্থা। নদী-নালায় পরিনত হয়েছে এই পৌর বাস টার্মিনালটি এমনটাই বলছিলেন পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ রিয়াজ উদ্দিন মৃধা।

এবিষয়ে পৌর মেয়র মহিউদ্দিন বলেনÑ ইজারার সাথে কাজের সম্পর্ক কি? আমরা মোটামুটি একটা মেইন্টনেন্স করে রাখতেছি , যেহেতু বড় একটা দরপত্র আহ্বান করা হবে সেজন্য আমরা ওখানে বেশি টাকা খরচ করতে পারি না।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- নোংরা পানি , কাঁদা, যাত্রীদের দুর্ভোগ, জলাবদ্ধতা, এরই মাঝে চলছে টিকেট বিকিকিনি ও যাত্রী ওঠা নামা। প্রতিদিন সকাল থেকে শুরু হয়ে চলে এ কার্যক্রম।

২০০৯ সালে পটুয়াখালী পৌর শহর থেকে সরিয়ে নিয়ে আশা হয় পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের পাশে।  গত ০৫ বছরে পটুয়াখালী পৌর শহরের ব্যপক উন্নয়ন হলেও তার ভিন্ন রুপ ফুটে ওঠে পটুয়াখালী পৌর বাস টার্মিনালে। এই ২০০৯ সারের পর থেকে কোন উন্নয়ন এর ছোঁয়া পায়নি এই পৌর বাস টার্মিনালটি। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর থেকে যেমন বেড়েছে যাত্রী সমাগম তেমনি বেড়েছে বাস। তবে বর্ষা মৌশুমের শুরুতেই ময়লার ভাগারে পরিনত হয় এটি। জলাবদ্ধতা পৌছে যায় চরম শিখরে। এ নিয়ে যাত্রীদের দুর্ভোগর যেন শেষ নেই।

বাস মালিক সমিতি বলছে- আমরা নিজেদের উদ্যগে যাত্রীদের জন্য আধুনিক টয়লেটের ব্যবস্থা করেছি। টিকিট কাউন্টারের সামনে বালু ফেলে যাত্রীদের চলাচলের ব্যব¯’া করেছি তবে যাত্রী সংখ্যা বেশী আর একটু বৃষ্টি হলেই আবার তা পরিনত হ”েছ কাদামাটিতে। পটুয়াখালী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির তথ্য মতে প্রতিদিন ৫০০ তেকে ৬০০ বাস চলাচল কওে অর্ভ্যন্তরীন রুটেও ঢাকায়। যাতে দৈনিক প্রায় ৫ তেকে ৭ হাজার মানুষ চলাচল করে। তবে যাত্রীদেও সুবিধায় পটুয়াখালী পৌরসভা থেকে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়না।

অভ্যন্তরীন রুটের সুপাভাইজার রুহুল আমীন মাঝি বলেনÑ আমরা গাড়ি কোতাও রাকতে পারি না। এই ময়লা পানিতে গাড়ি রাখলে তা আবার পরিষ্কার করতে হয়। আমরা খুব সমস্যার ভিতর আছি।বাস চালক মো: মাসুদ বলেন বাস স্টানের যে পরিস্থিতি দুর্ভোগের কোন শেষ নেই। গাড়ি ঢোকলে গাড়ি গাইরা যায় অন্য গাড়ি দিয়া টেলে তুলতে হয়। এত ময়লা পানি যাত্রীরা নামতে চায় না বাসে বসে থাকে। একবার যে এই বাস টার্মিনালে আসবে তার কাপড় পরিবর্তন করতে হবে।

পটুয়াখালী থেকে কলাপাড়াগামী বাসের টিকিট কেটেছেন মো: আনোয়ার তিনি জানালেন- বাসের টিকেট কেটেছি এখন রাস্তায় দাড়িয়ে আছি কারন ভেতরে ঢোকার মতো কোন পরিবেশ নাই। কাঁদা আর ময়লা পানিতে ভরা।নারী  যাত্রী মনিরা বলেন- আমি মেয়ে মানুষ রাস্তায় দাড়িয়ে আছি এখানে একটা বসার যায়গাও নেই। এটা কোন বাস টার্মিনালের ভেতর পরে না। বাস টার্মিনালের পরিবেশ যদিভালো হয় তাহলে আমদের জন্য ভারো হয়।

পটুয়াখালী জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সড়ক সম্পাদক মো: হাসান মাহমুদ ফোরকান বলেনÑ বৃস্টির সময় আসলে খানাখন্দ হয় ও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। আমরা এই বাস টার্মিনালের সকল কর্মীরা দুর্ভোগের শিকার হই। আমরা চাই পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহদয় এই বাস টার্মিনালটিকে মানুষের চলাচলের সুবিধায় সংস্কারের আওতায় নিয়ে আসেণ।এবিষয়ে পটুয়াখালী পৌরসভার মেয়র মহিউদ্দিন বলেনÑ আমাদেও ডিজাইনিং হয়েছে এটি এসিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংকের আওতায় কাজ করা হবে। এাঁর ইস্টিমেট ব্যয় হবে ৪২ কোটি টাকা। তবে কনসালটেন্ট নিয়োগ হয়নি বলে কাজ শুরু করতে পারতেছি না

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo