ফরিদগঞ্জে ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের

জাকির হোসেন সৈকত প্রকাশিত: ৮ জুলাই , ২০২৪ ১৫:২৪ আপডেট: ৮ জুলাই , ২০২৪ ১৫:২৪ পিএম
ফরিদগঞ্জে ঋণের টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে চিরকুট লিখে গলায় ফাঁস দিয়ে বৃদ্ধের
একমাত্র সমিতির কিস্তির টাকা যোগাড় করতে না পেরে আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম। কারন এই আপমানের চেয়ে মৃত্যুই ভালো বলে আমি বিস্বাস করি। ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রশান্ত তোমার মাকে কখন অবহেলা করনা বা কুট কথা বলোনা। তোমার মা আমার একমাত্র অবলম্বন। মা কি জিনিস একদিন বুঝবে।

আমার মৃত্যুর জন্য আমি নিজেই দায়ী, আমি আমার স্ত্রী ও ছেলে মেয়েদের খুব ভালোবাসি। আমি ও দের ছেড়ে কোথাও একরাত থাকিনাই।

একমাত্র সমিতির কিস্তির টাকা যোগাড় করতে না পেরে আমি এই সিদ্ধান্ত নিলাম। কারন এই আপমানের চেয়ে মৃত্যুই ভালো বলে আমি বিস্বাস করি। ছেলেকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রশান্ত তোমার মাকে কখন অবহেলা করনা বা কুট কথা বলোনা। তোমার মা আমার একমাত্র অবলম্বন। মা কি জিনিস একদিন বুঝবে।

এমন হৃদয় বিদারক কথা লিখে আত্মহত্যা করেন চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে মৃণায় চন্দ্র রায়(৬০) নামে এক বৃদ্ধা। সংবাদ পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।উপজেলার পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের উত্তর কড়ৈতলী গ্রামের স্বর্ণকার বাড়িতে সোমবার (৮জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান মৃণাল ওই বাড়ির মৃত গোপাল চন্দ্র রায়ের ছেলে ও তিন সন্তানের জনক।

জানা গেছে, মৃণায় চন্দ্র রায় ফরিদগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অনুমোদিত ইলেকট্রিশিয়ান। কিছুদিন পুর্বে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র ছেলে তমাল চন্দ্র রায় ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজে অধ্যয়নরত। সম্প্রতি শারিরীক অক্ষতার কারণে পুর্বের ন্যায় পরিশ্রম করতে পারতেন না। তাছাড়া দুই মেয়েকে বিয়ে দেয়ার সময় কিছু টাকা বিভিন্ন এনজিও সংস্থা থেকে ঋণ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। সেই ঋণ পরিশোধ করতে না পারায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

অবশেষে হতাশা থেকেই সোমবার (৮জুলাই) সকালে বাড়ির পাশের একটি কামরাঙ্গা গাছের ডালে গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।সংবাদ পেয়ে পুলিশ তার মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে আসে।ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ পেয়ে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo