১৬ বছর প্রবাস জীবন কাটানোর পর ভিসা জটিলতার কারনে একেবারে বাড়ি ফিরে তিলে তিলে জমানো নিজের সহায় সম্ভল দিয়ে গরুর খামার গড়ে তোলেন প্রবাস ফেরত কুদ্দুস পাটওয়ারী।
খামারটি গড়ে তোলার পর গত ৬ মাস প্রতিদিন গরু থেকে পাওয়া ৪০ থেকে ৪৫ কেজি দুধ বিক্রি করে ভালোই চলছিলো স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে কুদ্দুস পাটওয়ারীর সংসার। হঠাৎ আচমকা এক ঝড়ে এক রাতেই সর্বশান্ত হয়ে যায় খামারি কুদ্দুস পাটওয়ারী। শুক্রবার (১জুন) গভীর রাতে তার খামারে থাকা ১৪ টি গরু চুরি হয়ে যায়।খামারের পাশেই স্থানীয় ক্লাবে সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত চলেছিলো স্থানীয় যুবকদের বিরিয়ানি পার্টি।
পার্টি শেষ হলে সবাই ঘুমিয়ে পড়ার পরই চোর চক্রের সদস্যরা গরুর মালিকের ঘরের দরজায় বাহিরে দিয়ে সিটকিরি আটকিয়ে দিয়ে পাশ্ববর্তী মসজিদের মাইকের তার কেটে দিয়ে তালাবদ্ধ খামারের তালা ভেঙ্গে একে একে ১৪ টি গরু নিয়ে যায়।
খামার থেকে গরুগুলোকে পাশ্ববর্তী মাদ্রাসার মাঠে নিয়ে ট্রাকে তুলে নিয়ে যায় স্থানীয়রা একত্রে ১৪টি গরু চুরির ঘটনা শুনেননি আর কখনও এমনই লোমহর্ষক ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা ৩নংসুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের সুবিদপুর ওল্ডস্কীম দাখিল মাদ্রাসা সংলগ্ন পাটওয়ারী বাড়িতে ।
খামারের মালিক কুদ্দুস পাটওয়ারী জানান, ১৬ বছর কুয়েত থাকার পর নিজের জমানো সব টাকা দিয়ে খামারটি গড়ে তুলি। খামারের গরু থেকে পাওয়া দুদ বিক্রি করে আমার সংসার ভালোই চলছিলো। চুরি হওয়ার একদিন আগেও ৬ লক্ষাধিক টাকা দিয়ে দুটি গাভী গরু কিনেছিলাম। আমার খামারে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার গরু ছিলো। চোরেরা আমার খামারের সবগুলো গরু নিয়ে গিয়ে আমাকে সর্বশান্ত করে পথে বসিয়ে দিলো।স্থানীয় কয়েকজন যুবকের সাথে কথা হলে তারা জানান, সেদিন গভীর রাত পর্যন্ত আমরা ক্লাবে বিরানীর আয়োজন করে ছিলাম।
বিরানী খেয়ে আমরা বাড়িতে গিয়ে ঘুমিয়ে যাই। সকালে উঠে শুনি কুদ্দুস চাচার খামারের গরু গুলো চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চ্যাঞ্চল্যের সৃস্টি হয়েছে।ফরিদগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিন্টু দত্ত বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। আমরা আসামীদের আটক করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি।